Catfish in Almora

জালে উঠল ১২৫ কিলোগ্রামের দানব মাগুর, হইচই উত্তরাখণ্ডে

আলমোরা ফরেস্ট রেঞ্জের এক কর্তা জানিয়েছেন, করবেট জাতীয় উদ্যানের কাছে রামগঙ্গা নদীতে সন্ধান মিলেছে ওই বৃহৎ মাগুরের। মাংসাশী ওই মাছ দৈর্ঘ্যে প্রায় দু’মিটারের কাছাকাছি। মাগুরের অন্যান্য প্রজাতির থেকে ওজনে প্রায় দ্বিগুন। স্থানীয় ভাষায় এই মাছগুলিকে গুনচ বলা হয়।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা  শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৭ ১১:৫৯
Share:

বিশাল ওই মাছকে নিয়ে হই চই গ্রামে

বাঁশের গায়ে মোটা নাইলনের দড়ি দিয়ে বেঁধে একটি বিশাল মাছ ঝুলিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জনা চারেক লোক। তাদের ঘিরে মহা উত্সাহে চলেছে গ্রামবাসীরা। এমন ছবি দেখে হতবাক বন বিভাগের কর্তারা। এত বড় মাছ এল কোথা থেকে? শেষে গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেল নদীতে মাছ ধরার সময়েই ধরা পড়েছে ওই বিশাল মাগুর। ওজনে প্রায় ১২৫ কিলোগ্রাম। রাতে ওই মাছ দিয়েই উৎসব হবে গ্রামে। সম্প্রতি ওই দানব মাগুরই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে উত্তরাখণ্ডের ম্যানিলা গ্রামে।

Advertisement

আরও পড়ুন: গোখরোর সঙ্গে নিজস্বী, বেঁহুশ যুবক

আলমোরা ফরেস্ট রেঞ্জের এক কর্তা জানিয়েছেন, করবেট জাতীয় উদ্যানের কাছে রামগঙ্গা নদীতে সন্ধান মিলেছে ওই বৃহৎ মাগুরের। মাংসাশী ওই মাছ দৈর্ঘ্যে প্রায় দু’মিটারের কাছাকাছি। মাগুরের অন্যান্য প্রজাতির থেকে ওজনে প্রায় দ্বিগুণ। স্থানীয় ভাষায় এই মাছগুলিকে গুনচ বলা হয়। সাধারণত খুব বড় পুকুর বা নদীতেই এদের দেখা মেলে। বর্ষাকালে ডিম পাড়ার জন্য এরা পাড়ের কাছাকাছি চলে আসে।

Advertisement

১২৫ কিলোগ্রামের মাছ নিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন গ্রামবাসীরা

আলমোরার জেলাশাসক সাভিন বনসলের কথায়, রামগঙ্গা নদী থেকে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। তা ছাড়া এলাকার মানুষ পুরনো পদ্ধতিতে জাল দিয়েই মাছ ধরেন। তাই এত বড় মাছ গ্রামবাসীরা কী ভাবে ধরলেন তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘অবৈধ ভাবে ওই মাছ ধরা হয়েছে। মৎস্য দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’’ জীববিজ্ঞানীদের মতে, এই ধরনের প্রজাতি বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়। সরকার তাই আইন করে রামগঙ্গায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই নদীতে অবৈধ ভাবে মাছ ধরার কাজ চলে। এই প্রক্রিয়া যত শীঘ্র সম্ভব বন্ধ হওয়া উচিত।

ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement