প্রতীকী ছবি।
ম্যাট্রিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনন্দে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল গ্রামের পাশে জঙ্গলের ধারে। সেখানেই টেনে নিয়ে গিয়ে ১২ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল ৯ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে। তাদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। চার্জশিটও দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক জানিয়েছিলেন ছাত্রদের কেউই নাবালক নয়। কিন্তু ম্যাট্রিকের অ্যাডমিট কার্ডের ভিত্তিতে তাদের নাবালক হিসেবেই গণ্য করেছে আদালত। এ বার করোনার দৌলতে জামিন পেল তারা। তা নিয়েই আন্দোলন, বিক্ষোভে নেমেছে কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয় সংগঠনগুলি।
২৮ ফেব্রুয়ারি অসমের বিশ্বনাথ জেলার গোহপুরের কাছে একটি গ্রাম থেকে ওই কিশোরী নিখোঁজ হয়। পরের দিন রাতে গ্রামের কাছে জঙ্গলের মধ্যে গাছ থেকে ঝুলতে দেখা যায় মেয়েটির দেহ।
পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্ত ও ফরেন্সিক পরীক্ষায় ধর্ষণ ও হত্যার প্রমাণ মিলেছে। পুলিশ নয় কিশোরকে গ্রেফতার করে। আদালত তাদের জুভেনাইল হোমে রাখার নির্দেশ দেয়। কিন্তু করোনার জন্য বিচারাধীন বন্দিদের জামিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তা মেনেই জুভেনাইল হোমের আবাসিকদেরও জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই নয় ছাত্রও তখনই জামিন পেয়েছে। তার তীব্র প্রতিবাদ করেছে কিশোরীর পরিবার। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের কাছে ন্যায়বিচারের আবেদন করেছেন পরিবারের সদস্যেরা।
জেলার পুলিশ সুপার রাজেন সিংহ জানান, পুলিশ নিয়মমাফিক তদন্ত চালিয়ে অবিলম্বে সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। সব তথ্য-প্রমাণ-সহ চার্জশিটও দিয়েছে। এখন নিম্ন আদালত তাদের জামিন দিলে পুলিশের কিছু করার নেই।
সারা অসম তফসিলি ছাত্র সংগঠনের গোহপুর শাখার সচিব বিপুল হীরা বলেন, মেয়েটির হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচার চাই। মিসিং কল্যাণ সোসাইটিও ন্যায়বিচার ও বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে।