দু’টি প্রাণ বাঁচিয়েও মন ভাল নেই উত্তমের

এসপি সঞ্জিৎ কৃষ্ণ জানান, গত কাল ৩৫ বছর বয়সী অঞ্জলী তাঁতি তিন বছরের মেয়ে রিয়া ও ১৮ মাসের দীপ্তাকে নিয়ে দীঘলিজান নদীর একটি নড়বড়ে কাঠের সেতু পার হয়ে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন।

Advertisement

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ০১:১৪
Share:

উত্তম তাঁতি। নিজস্ব চিত্র

বর্ষায় ফুলেফেঁপে ওঠা নদীতে দুই মেয়েকে নিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন এক মহিলা। পাড় থেকে সেই ঘটনা দেখে জলে ঝাঁপ দেয় ১১ বছরের উত্তম তাঁতি। মা ও এক মেয়েকে বাঁচাতে পারলেও ১৮ মাসের ছোট মেয়েকে বাঁচানো যায়নি। অসমের শোণিতপুর জেলার ঠেলামারার ঘটনা। ‘বীরত্ব’-এর জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে আজ উত্তমকে সংবর্ধনা দেওয়া হল। ওই কিশোরের পড়াশোনার ভার নিয়েছেন জেলাশাসক।

Advertisement

এসপি সঞ্জিৎ কৃষ্ণ জানান, গত কাল ৩৫ বছর বয়সী অঞ্জলী তাঁতি তিন বছরের মেয়ে রিয়া ও ১৮ মাসের দীপ্তাকে নিয়ে দীঘলিজান নদীর একটি নড়বড়ে কাঠের সেতু পার হয়ে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। নদীর উপরে পাকা সেতু থাকলেও শর্টকাট করতে পুরোন সেতুই ব্যবহার করেন পায়ে চলা মানুষ। বৃষ্টিতে পিছল সেতু থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই মেয়েকে নিয়েই জলে পড়েন অঞ্জলি। তা দেখেই উত্তম নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রথমে অঞ্জলিদেবীকে টেনে পাড়ে আনে সে। ৩ বছরের রিয়াকেও টেনে তোলে। কিন্তু দীপ্তা ভেসে যায়। ৮ কিলোমিটার দূরে তার দেহ উদ্ধার করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ঘটনার কথা জানতে পেরে উত্তমের সাহসিকতার প্রশংসা করে টুইট করেন। উত্তম বালিসূঁতি বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। জেলাশাসক নরসিংহ পাওয়ার জানান, আজ প্রশাসনের তরফে উত্তমকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দেওয়া হয় সাইকেল ও অর্থ সাহায্য। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ছেলে উত্তম জেলাশাসককে জানায়, সে সৈনিক হতে চায়। পাওয়ার জানিয়েছেন, উত্তমের পড়াশোনার খরচ তিনি নিজে বহন করবেন। বীরত্বের ক্ষেত্রে জাতীয় পুরস্কারের জন্যও তার নাম প্রস্তাব করবেন জেলাশাসক।

Advertisement

এত অভিনন্দন, সংবর্ধনা, নতুন সাইকেল পেয়েও ছোট্ট মেয়েটাকে বাঁচাতে না পারায় মনমরা উত্তম!

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement