প্রতীকী ছবি।
ছোট্ট ছেলেটাকে একা থানায় ঢুকতে দেখে আবাক হয়েছিলেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। কৌতূহলবশত থানায় আসার কারণও জিজ্ঞাসা করেছিলেন। আর তখনই ছেলেটা সঙ্গে করে আনা চিঠিটা তুলে দিয়েছিল পুলিশকর্মীদের কাছে।
চিঠির বয়ান পড়ে রীতিমতো তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। তাঁরাই দ্রুত থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের কাছে নিয়ে যান ছেলেটাকে। সেখানেই বাবার বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সব কথা খুলে বলে ১১ বছরের শশী কুমার। জানায়, বিগত কয়েক মাস ধরেই মা এবং তার উপর কী ভাবে অত্যাচার চালিয়ে আসছেন বাবা। নিজের হাতে লেখা চিঠিতে সে সব কথাই লিখে এনেছিল শশী। ছেলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাবা এম শ্রীনিবাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গনার করিমনগরে। শশী কুমারের অভিযোগ, কয়েক মাস ধরেই তাদের উপর অত্যাচার করতেন শ্রীনিবাস। কিন্তু, গত বৃহস্পতিবার সব কিছুর সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সে দিন রাতে কাজ থেকে ফেরার পর তাঁকে সেবাযত্ন করা হয়নি, এই ‘অপরাধ’-এ স্ত্রী রম্যাকে মারধর করতে থাকেন শ্রীনিবাস। বাদ যায়নি ছেলেও। এমনকী, বাবা তার গায়ে লঙ্কার গুঁড়ো ছড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগে করেছে শশী।
আরও পড়ুন: রেলিং টপকে ঝুলছে বৃদ্ধার ফাঁস দেওয়া দেহ, দমদমে চাঞ্চল্য
এর পরেই বাবার বিরুদ্ধে থানায় নালিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল শশী কুমার। শুক্রবার জাম্মিকুন্তা থানায় অভিযোগ করে সে। এর পরেই শ্রীনিবাসকে গ্রেফতার করা হয়। জুভেনাইল অ্যাক্ট-সহ নানা ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জাম্মিকুন্তার পুলিশ ইন্সপেক্টর প্রশান্তনাথ রেড্ডি জানিয়েছেন, শ্রীনিবাস নিয়মিত মদ্যপান করতেন। মদ্যপ অবস্থাতে মারধর করতেন স্ত্রী এবং ছেলেকে। শশীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের উপহারে বাক্সবোমা, বরের মৃত্যু, গুরুতর জখম নববধূ
তবে আর বাবার কাছে ফিরতে চায় না শশী। পুলিশের কাছে তার একটাই অনুরোধ, তার জন্য একটা হোস্টেলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। যাতে শান্তিতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।