কোটার এই হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে শতাধিক শিশুর। ছবি: পিটিআই
রাজস্থানের কোটায় শিশুমৃত্যুকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। গত তিনদিনে মৃত্যু হয়েছে মোট ১১জন শিশুর। ডিসেম্বরের শুরু থেকে এ যাবৎ মৃত শিশুর সংখ্যা সরকারি হিসেবে ১০২। এই নিয়ে কংগ্রেস শাসিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। অন্য দিকে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও পুরো ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠির উত্তরে ওই রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মুখ খোলেন শিশুমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘কোটার ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। মায়েদের এই ক্ষতি সভ্যতাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। মেয়ে হয়েও বিষয়টি কংগ্রেস দলনেত্রী সোনিয়া গাঁধী, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা বুঝতে পারছেন না, এটা দু:খের।’’ সুর চড়িয়েছেন বহুজন সমাজবাদী পার্টি নেত্রী মায়াবতীও। অশোক গহলৌতের ভূমিকাকে ‘অসংবেদনশীল’ আখ্যা দেন তিনি। মায়াবতী প্রশ্ন তুলছেন সোনিয়া-প্রিয়ঙ্কার ভূমিকা নিয়েও। কিছুদিন আগেই প্রিয়ঙ্কা উত্তরপ্রদেশে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রতিবাদীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। প্রিয়ঙ্কা। পুলিশ তাঁদের সেখানে ঢুকতে দেয়নি। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে মায়াবতী টুইটারে লিখেছেন, ‘‘আজ যদি প্রিয়ঙ্কা কোটা না যান, তাহলে সেদিন তিনি রাজনৈতিক নাটক করছিলেন।’’
মায়াবতীর টুইট
এ দিন কোটার শিশুমৃত্যু বিষয়ে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনও। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘‘আমি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে চিঠি দিয়েছি। আমি আশা করব বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দিয়ে বিচার করবেন।’’ পাল্টা টুইট করেন অশোক গহলৌতও। তিনি লেখেন, ‘‘আমি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের অনুরোধ করছি রাজস্থানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা পরিদর্শনে আসার। আমরা শিশুমৃত্যুর বিষয়ে উদ্বিগ্ন। এখানে কোনও রাজনীতি আনা উচিত নয়। কোটার বার্ষিক মৃত্যুহারও কমেছে আগের তুলনায়।’’
রাজস্থান সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ক্লিনচিট দিলেও , সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, যে হাসপাতালে শিশুমৃত্যু হয়েছে সেই জে কে লনের অবস্থা বেহাল। বহু নেবুলাইজার অকেজো, কাজ করছে না শিশু বিভাগের ওয়ার্মারও। একটি ইনকিউবেটারে একাধিক শিশুকে রাখা হচ্ছে জায়গার অভাবে।