প্রতীকী ছবি।
রক্ষকই ভক্ষক! ছিনতাই রোখা যাঁদের কাজ, সেই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেই উঠল ছিনতাই করার অভিযোগ। মহারাষ্ট্রের ঠাণে জেলায় ৬ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে তিন অফিসার-সহ ১০ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
অভিযোগ, গত ১২ এপ্রিল গভীর রাতে মুমব্রার ব্যবসায়ী ফয়জল মেমনের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন স্থানীয় থানার অপরাধ দমন বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক (ক্রাইম ইনস্পেক্টর) গীতারাম শেওয়ালে, দুই সাব-ইনস্পেক্টর রবি মাদান ও হরশল কালে-সহ ১০ পুলিশকর্মী। তাঁদের সকলেই সাধারণ পোশাকে ছিলেন।
অভিযোগ, তল্লাশির কথা বলে ঘরে ঢুকে ৩০টি টাকা ভরা বাক্স খুঁজে পান শেওয়ালে। প্রতিটি বাক্সে ১ কোটি করে টাকা ছিল। সেগুলি তুলে নিয়ে ফয়জলকে আটক করে মুমব্রা থানায় আনা হয়। শেওয়ালের জিজ্ঞাসাবাদে ওই টাকার উৎস সম্পর্কে সদুত্তর দিয়েছিলেন বলে ফয়জলের দাবি। কিন্তু শেওয়ালে এবং তাঁর সঙ্গীরা ঘুষ চান। না দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
ফয়জল ২কোটি দিতে রাজি থাকলেও তা না শুনে শেওয়ালেরা ৬ কোটি টাকা কার্যত ছিনিয়ে নেন বলে অভিযোগ। ২৪ কোটি ফেরত দেওয়া হয় ওই ব্যবসায়ীকে। ফরজলের দাবি, ওই ১০ পুলিশকর্মীর পাশাপাশি মুমব্রা থানার স্টেশন ইনচার্জ অশোক কড়লগও জিজ্ঞাসাবাদের সময় হাজির হয়েছিলেন।
ঘটনার পর ফয়জল-সহ স্থানীয় বাসিন্দারা ঠাণের পুলিশ কমিশনার জয়জিৎ সিংহের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ পাঠানো হয় মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়লসে পাতিল কাছেও। তারই জেরে ১০ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঠাণে পুলিশ।