—প্রতীকী ছবি।
জম্মু-কাশ্মীরে তফসিলি জনজাতির তালিকায় নতুন যোগ হওয়া গোষ্ঠীগুলির জন্য চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণে সায় দিল প্রশাসন। এই গোষ্ঠীগুলির মধ্যে রয়েছে পাহাড়ি, পাদ্দারি জনজাতি, কোলি ও গাদ্দা ব্রাহ্মণ। রাজনীতিকদের মতে, ভোটের দিকে তাকিয়ে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার ঠিক আগেই এই ঘোষণা করেছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন।
এর আগে গুজ্জর ও বকরওয়াল সম্প্রদায় এবং অন্য তফসিলি জনজাতির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। পাশাপাশি আরও ১৫টি গোষ্ঠীকেও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) তালিকাভুক্ত করেছে প্রশাসন। তাদের জন্য ৮ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে জম্মু-কাশ্মীরে তফসিলি জনজাতির জন্য চাকরিতে সংরক্ষণ বেড়ে দাঁড়াল ২০ শতাংশে।
সামাজিক ও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া কমিশনের সুপারিশ মেনে কয়েকটি গোষ্ঠীর নাম বদলেছে প্রশাসন। গত কাল উপরাজ্যপাল মনোজ সিন্হার নেতৃত্বে প্রশাসনিক কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপরাজ্যপালের উপদেষ্টা রাজীব রাই ভাটনগর, মুখ্যসচিব অতুল ডাল্লু ও উপরাজ্যপালের প্রিন্সিপ্যাল সচিব মণদীপকুমার ভাণ্ডারী।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যসভায় সংসদে পাশ হয় জম্মু-কাশ্মীর সংক্রান্ত তিনটি আইন। এই তিন আইনে পুরসভা-পঞ্চায়েতে ওবিসি শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলার মোট জনসংখ্যার যথাক্রমে ৪৩ শতাংশ ও ৪১ শতাংশ গুজ্জর-বকরওয়াল সম্প্রদায়ের মানুষ। বাকি অংশ পাহাড়ি। জম্মু ও রিয়াসি এলাকাকে এখন অনন্তনাগ কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তফসিলি জনজাতি ভোট। এক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের বক্তব্য, গুজ্জর, বকরওয়াল, শিনাস, গাড্ডি ও সিপ্পি সম্প্রদায় তফসিলি জনজাতির মর্যাদা পেলেও বিশেষ মর্যাদা লোপের আগে সংরক্ষণের সুবিধে পায়নি।