প্রতীকী ছবি।
মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন নতুন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলল দিল্লিতে। রাজধানীতে এখনও পর্যন্ত মোট ২০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের এই রূপের উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ওমিক্রনে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে দিল্লিতে এর আগে কখনও এত সংখ্যক রোগী ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
শুক্রবার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, ২০ জন আক্রান্তের মধ্যে ১০ জনকে চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘শুক্রবার সকালে ওমিক্রনে সংক্রমিত ১০ জন নতুন রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর জেরে দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০। তবে তার মধ্যে ১০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।’’
দিল্লির স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ২৮ জুনের পর থেকে রাজধানীতে সংক্রমণের দৈনিক হারও সবচেয়ে বেশি হয়েছে বৃহস্পতিবার। ওই দিন তা পৌঁছয় ০.১৫ শতাংশে। এর পরের দিনই একসঙ্গে ১০ জনের মধ্যে ওমিক্রনের উপসর্গ ধরা পড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। অন্য দিকে, শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিন জানিয়েছে যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ শহরে ৪৭৫ জন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ওমিক্রন-সহ নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ওমিক্রন সংক্রমণের নিরিখে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশ থেকে আসা বিমানযাত্রীদের দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সোজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। সেখানেই তাঁদের বাধ্যতামূলক ভাবে কোয়রান্টিনে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি, তাঁদের জিনের পরীক্ষাও করানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
দেশের অন্যান্য রাজ্যেও দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে এতে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওই রাজ্যে ৩২ জনের দেহে ওমিক্রন ধরা পড়েছে। এ ছাড়া, কর্নাটক, গুজরাত, কেরল, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশ মিলিয়ে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০-এর উপরে পৌঁছে গিয়েছে।