বিমানের ধ্বংসাবশেষ। দিল্লিতে। — পিটিআই
ভিন্ রাজ্যে বিকল কপ্টার সারানোর উদ্দেশ্যে উড়ান শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ল বিএসএফের একটি চার্টার্ড বিমান। আজ সকালে দিল্লির কাছে দ্বারকার সেক্টর এইটে ভেঙে পড়ে বিমানটি। বাহিনীর দুই অফিসার-সহ বিমানে সওয়ার ১০ জনেরই মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থলে।
ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিমান মন্ত্রক। আগামিকাল, বুধবার সীমান্ত নিরাপত্তা-সহ নানাবিধ বিষয় নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সঙ্গে বিএসফের ডিজি পর্যায়ের একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। দুর্ঘটনার জেরে আপাতত তা স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
বিএসএফ সূত্রের খবর, আজ সকাল ৯টা ৩৭ নাগাদ ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাঁচির রওনা দেয় বিমানটি। এগারো আসনের সুপারকিং বিমানটিতে চালক ও সহযোগী চালক হিসেবে দুই অফিসার ছাড়াও ছিলেন বাহিনীর এক ইঞ্জিনিয়ার ও ছয় টেকনিশিয়ান। কিন্তু যাত্রা শুরু করেই হঠাৎ ইউ-টার্ন নিতে শুরু করে বিমানটি। ঘড়িতে সময় তখন ৯টা ৪০। বাহিনীর দাবি, যান্ত্রিক ত্রুটি আন্দাজ করেই বিমানবন্দরে ফেরত আসার পথ ধরেন চালক। আর ফিরতে গিয়েই বিপত্তি!
দেখুন ফোটো গ্যালারি দুর্ঘটনায় বিএসএফের বিমান
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকালে হঠাৎ তাঁরা একটি বিমানকে ঘুরতে ঘুরতে নীচে নেমে আসতে দেখেন। প্রথমে একটি গাছে ধাক্কা মেরে, বিমানবন্দরের সীমানা-লাগোয়া একটি দেওয়ালে গোঁত্তা খায় বিমানটি। শেষ পর্যন্ত সেটি একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে আছড়ে পড়ে। দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনীর পনেরোটি ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও কাউকে জীবিত উদ্ধার করা যায়নি বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
আজ দুঃসংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ঘটনার তদন্ত চেয়ে আজ বার্তা দিয়েছেন তিনিও। বিপদ বুঝেও বিমানটি থেকে কেন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে কোনও সঙ্কেত পাঠানো হয়নি, সে প্রশ্ন উঠছে। বিএসএফের অবশ্য দাবি, বিমানে যাঁরা চালকের আসনে ছিলেন, তাঁরা দু’জনেই যথেষ্ট অভিজ্ঞ
এবং দক্ষ।