প্রতিষেধক নিচ্ছেন এক প্রবীণ নাগরিক। ছবি: পিটিআই
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ প্রায় ১লক্ষ ২৮ হাজার ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি প্রতিষেধক নিলেন আজ। প্রতিষেধক নিতে চেয়ে আজ এক দিনে নাম লেখালেন প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ। যাদের মধ্যে ২৪.৫ লক্ষই হলেন প্রবীণ ব্যক্তি।
আজ থেকে দেশে শুরু হল ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের টিকাকরণ অভিযান। অগস্ট মাসে অন্তত ২৭ কোটি দেশবাসীকে প্রতিষেধকের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য নিয়েই শুরু হল ওই অভিযান। এ যাত্রায় ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা ছাড়াও প্রতিষেধক পাবেন ৪৫-৫৯ বছর বয়সি ব্যক্তিরা যাঁরা বিভিন্ন ক্রনিক রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। আজ সকালেই এমসে গিয়ে প্রতিষেধক নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, প্রধানমন্ত্রী দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহও করোনার টিকা নেন। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রতিষেধক নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজনীতিকদের সঙ্গে প্রতিষেধক নেন দেশের প্রায় ১,২৮,৬৩০ জন প্রবীণ ব্যক্তি। ১৮,৮৫০ জন ৪৫-৫৯ বছর বয়সীও আজ প্রতিষেধক নিয়েছেন।
আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টের কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের টিকাকরণের উদ্দেশ্যে বিশেষ শিবির বসানো হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে। দেশবাসীর মনে প্রতিষেধক নিয়ে ভয় ও অনীহা দূর করতে দলের সমস্ত সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এগিয়ে আসতে নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি। দলের প্রত্যেক সাংসদকে তাঁদের নিজেদের নির্বাচনী ক্ষেত্রে গিয়ে প্রতিষেধক নিতে বলা হয়েছে। প্রত্যেক সাংসদকে তাঁর প্রতিষেধকের দাম মিটিয়ে দিতেও নির্দেশ দিয়েছে দল। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সামনে এগিয়ে এসে প্রতিষেধক নিয়ে এক দিকে যেমন নেতৃত্ব দিয়েছেন তেমনি একইসঙ্গে আমজনতার মতোও আচরণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর মতোই দলের সমস্ত সাংসদ ও নেতা-কর্মীদের এগিয়ে এসে টিকাকরণ অভিযানে অংশ নেওয়ার আহ্বান করেছে দল। এ দিকে গত দু’দিন বন্ধ থাকার পরে আজ থেকে চালু হয়েছে কো-উইন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। ওই অ্যাপের মাধ্যমে আজ প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। যাদের মধ্যে পঞ্চাশ হাজার হলেন স্বাস্থ্যকর্মী। বাকিরা সকলেই আমজনতা। এত বেশি সংখ্যক সাধারণ মানুষ প্রথম দিনেই নাম লেখানো ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসাবে দেখছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।