কোনও গ্রহই কারও পক্ষে প্রকৃত অর্থে শুভ বা অশুভ নয়। তাই ভাল ভাবে বিচার করে গ্রহরত্ন ধারণ করুন। অন্যথায় চরম ক্ষতি হবে। আপনার অজান্তে শত্রু এবং শরীরে রোগ তৈরি হবে। অযথা অর্থ ব্যয় হবে। প্রিয় জনের শরীর খারাপ হবে, মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। প্রেমে ব্যর্থ হবেন। সংসারে চরম অশান্তির পরিবেশ তৈরি হবে।
এখন দেখে নেওয়া যাক গ্রহরত্ন রক্তপ্রবাল কখন ধারণ করা যাবে না:
১। লগ্ন, চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম, নবম, দশম, দ্বাদশে মঙ্গল গ্রহ অবস্থান করলে রক্তপ্রবাল ধারণ নিষেধ।
২। মঙ্গল ও শুক্র এক সঙ্গে থাকলে রক্তপ্রবাল ধারণ নিষেধ।
৩। মঙ্গলকে চন্দ্র বা বুধ দৃষ্টি দিলে রক্তপ্রবাল ধারণ নিষেধ।
৪। মঙ্গল রাহুর ক্ষেত্রে বা কেতুর ক্ষেত্রে থাকলে রক্তপ্রবাল ধারণ নিষেধ।
৫। ৪০ বছর বয়সের পর রক্তপ্রবাল ধারণ নিষেধ।
৬। জাতক বা জাতিকা যাঁদের বিবাহ হচ্ছে না, তাঁদের রক্তপ্রবাল ধারণ নিষেধ।
৭। বাবা বা বসের সঙ্গে মানসিক অমিল থাকলে রক্তপ্রবাল ধারণ নিষেধ।
৮। ঘুমের সমস্যা থাকলে রক্তপ্রবাল ধারণ নিষেধ।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ জানতে কর্নারস্টোন ও ক্যাপস্টোন অক্ষর কী ভাবে আমাদের সাহায্য করে (প্রথম অংশ)
৯। শরীরে মেদ বৃদ্ধি পেলে বা মেদ বেশি থাকলে রক্তপ্রবাল ধারণ নিষেধ।
১০। গায়ের চামড়া তৈলাক্ত হলে রক্তপ্রবাল ধারণ নিষেধ।
১১। কম্পিউটার খুব তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে গেলে রক্তপ্রবাল ধারণ নিষেধ।
১২। টিভিতে ভাল অনুষ্ঠান দেখার সময় যদি প্রায়ই বিদ্যুৎ চলে যায়, একদম আপনি রক্তপ্রবাল ধারণ করবেন না।
১৩। রাতে ঘুমের মধ্যে সাপের স্বপ্ন প্রায়ই দেখলে বুঝবেন রক্তপ্রবাল আপনার ক্ষতি করবে।
১৪। যদি আপনার অন্ধকারে ভয় লাগে, ভূতে বিশ্বাস করেন, তা হলে রক্তপ্রবাল একদম নয়।
১৫। যিনি সমুদ্র বা পাহাড় ভালবাসেন, সারা জীবন রক্তপ্রবাল ধারণ করবেন না। চরম ক্ষতি হবে।
১৬। যাঁরা শ্বশুরের একমাত্র মেয়েকে বিবাহ করেছেন অর্থাৎ আর কোনও ওয়ারিশন নেই, সংসার সুখী রাখার জন্য কোনও দিন আপনি এবং আপনার স্ত্রী রক্তপ্রবাল বা পেরিডট ধারণ করবেন না।
১৭। যাঁরা দীক্ষা নিয়েছেন (শিব বা কালীমন্ত্র) কোনও ভাবেই রক্তপ্রবাল ধারণ করবেন না।
১৮। রাশির ষষ্ঠে মঙ্গল ও কেতু বা মঙ্গল ও রাহু- রক্তপ্রবাল নিষেধ।
১৯। যাঁদের গৃহে বাস্তু দোষ আছে, তাঁরা বাস্তুদোষ খণ্ডাবার পূর্বে বা পরে রক্তপ্রবাল ধারণ করবেন না।
২০। রক্তপ্রবাল শনিবার ধারণ নিষিদ্ধ।