প্রতীকী চিত্র।
সুস্বাস্থ্য সকলেই কামনা করেন। কিন্তু সর্বক্ষেত্রে তা হয় না। সুস্বাস্থ্য মানে ছোটখাটো রোগও হবে না, তা কিন্তু নয়। জ্বরজালা, সর্দিকাশি হতেই পারে। সুস্বাস্থ্য বলতে বড় ধরনের শারীরিক অসুস্থতা, পুরনো বা জটিল রোগ, রোগের কারণে অস্ত্রোপচার, রোগের কারণে অঙ্গহানি ইত্যাদি বোঝানো হয়।
জন্মছক বা জন্মকুণ্ডলী দেখে জীবনের বিভিন্ন ঘটনা যেমন অনুমান করা যায়, ঠিক তেমনই স্বাস্থ্য বা রোগ সম্বন্ধেও ধারণা করা সম্ভব। জন্মকুণ্ডলীর প্রথম স্থান বা প্রথম ঘর লগ্ন। শরীর সম্পর্কিত বিষয়ে জানার জন্য লগ্ন খুবই ভাল করে পরীক্ষা বা বিচার করা প্রয়োজন। লগ্ন এবং লগ্নপতি শরীর সম্পর্কিত বিষয়ে প্রাথমিক এবং স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারে।
বলিষ্ঠ লগ্ন অর্থাৎ লগ্ন যদি শক্তিশালী হয় তা হলে শরীর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে শুভ ফল আশা করা যায়।
লগ্নে যদি শুভ গ্রহ (বৃহস্পতি, শুক্র এবং শক্তিশালী বা অপীড়িত বুধ) অবস্থান করে, তা হলে শারীরিক ক্ষেত্রে শুভ ফল পাওয়া যায়। অশুভ গ্রহের অবস্থান (লগ্নে) শারীরিক ক্ষেত্রে খুব ভাল ফল দান করে না।
লগ্নপতির শুভ অবস্থান (উচ্চক্ষেত্র, নিজক্ষেত্র বা মিত্রক্ষেত্রে) শারীরিক ক্ষেত্রে শুভ ফল দান করে।
লগ্নে শুভ গ্রহের দৃষ্টি শারীরিক ক্ষেত্রে শুভ ফল দান করে। অশুভ গ্রহের দৃষ্টি শারীরিক ক্ষেত্রে কোনও না কোনও ভাবে অশুভ ফল দান করে।
শুভ গ্রহের দ্বারা সৃষ্টি করা শুভ যোগ বা লগ্নপতির দ্বারা সৃষ্টি করা শুভ যোগ সুস্বাস্থ্য দান করে।
লগ্নের দুই পাশে শুভ গ্রহ থাকলে লগ্নের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শারীরিক ক্ষেত্রে শুভ ফল দান করে।
শুভ চন্দ্র শারীরিক ক্ষেত্রে শুভত্ব দান করে। বিশেষত মানসিক বল বৃদ্ধি করে যা সুস্বাস্থ্যের জন্য অতীব প্রয়োজন।
তৃতীয়, ষষ্ঠ এবং একাদশ স্থানে অশুভ গ্রহের অবস্থান শারীরিক ক্ষেত্রে শুভ। রোগের বিরুদ্ধের লড়াইয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
লগ্নের প্রথম, পঞ্চম এবং নবম স্থানে শুভ গ্রহের অবস্থান শারীরিক ক্ষেত্রে শুভ ফল দান করে, অশুভ গ্রহ শারীরিক ক্ষেত্রে অশুভ ফল দান করে।