লাইফপাথ নম্বর ৪(চার)এর পেশা- যাদের লাইফপাথ নম্বর ৪ হয়, তাদের মধ্যে শিল্পপতি, ইঞ্জিনিয়র, আর্থিক পরামর্শদাতা, সংখ্যাতত্ত্ববিদ, ব্যাঙ্কার, ট্যাক্স প্রফেশনাল, অ্যাকাউট্যান্ট, ইত্যাদি। এদের মধ্যে সংস্থাগত দক্ষতা থাকার জন্য বেশির ভাগ জায়গায় এরা ম্যনেজার হিসাবে কাজ করে থাকে। এরা বিশেষ ভাবে বাস্তববাদী প্রকৃতির এবং সব ব্যাপারে নজর রাখতে পারে। এরা মেকানিক, ছুতোর, ল্যাব টেকনিশিয়ান-সহ বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকতে পারে।
লাইফপাথ নম্বর ৬(ছয়)এর পেশা- ছয় যাদের লাইফপাথ নম্বর, তারা সারা জীবন নানা রকম অনুকূল ও প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজের জীবন গড়ে তোলে। এদের অন্তর্নিহিত সত্ত্বায় থাকে ভালবাসা। ৬-কে নিয়ন্ত্রণ করে শুক্র। তাই এরা নিজেরাও সকলকে পরামর্শ দেয় ভালবাসতে। তাই এদের পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকে ভালবাসা ও সকলের মর্জির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলা। এদের আমরা দেখে থাকি নার্স, চিকিত্সক, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী, সমাজ সংগঠক, গাইডেন্স কাউন্সিলর, ফ্যামিলি ও ম্যারেজ কাউন্সিলর হতে। এ ছাড়া এরা হোটেলের বেয়ারা, প্রশিক্ষক, কারিগর এবং ক্যাফে বা রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার হতে।
আপনার যদি ২২/২/১৯৫৩ সালে জন্ম হয়, তা হলে আপনার লাইফপাথ নম্বর হবে, ২+২+২+১+৯+৫+৩=২৪=২+৪=৬। উপরে ৬-এর পেশার বিবরণে যে কোনও একটি আপনার পেশা হতে পারে।
লাইফপাথ নম্বর ৭(সাত) এর পেশা- যাদের লাইফপাথ নম্বর সাত হয় তাদের বলা হয় প্রবলেম সল্ভার। এরা সেই সব কাজই বেছে নেয় যেখানে সমস্যা আছে এবং সমাধান আবশ্যক। এদের পড়াশোনার দিক থেকে খুব উঁচু ডিগ্রি বা গবেষণা থাকে। এদের প্রায় সব ধরনের শিক্ষকতার কাজে নিয়োগ হতে দেখা যায়। এরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক কাজে নিযুক্ত থাকে।
এদের মধ্যে যারা স্বপ্নালু প্রকৃতির হয় তারা জ্যোতিষ, সাইকিক, নিউমেরোলজিস্ট, মিডিয়াম, হেমিওপ্যাথ চিকিত্সক, অ্যারোমা থেরাপিস্ট, রেইকি প্রফেশনাল।
আবার যারা জিজ্ঞাসু প্রকৃতির হয়ে থাকে, তারা হয় বিজ্ঞানী গবেষক, গোয়েন্দা, প্রত্নতত্ববিদ, ঐতিহাসিক, মেরিন বায়োলজিস্ট, সি এক্সপ্লোরার, থিয়োলজিস্ট, অ্যানালিসিস্ট ইত্যাদি।
এ ছাড়াও সাইক্রিয়াটিস্ট, বিচারক, সমাজতত্ত্বের গবেষক, সমাজকর্মী, এনজিও কর্মী হয়। সমুদ্র সংক্রান্ত কাজে বিভিন্ন পেশা, যেমন নাবিক, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার্স, ক্যাপ্টেন হতে পারে।