জ্যোতিষ বলে, রোগ উৎপত্তির সময় গোচরে চন্দ্র শুদ্ধ না থাকলে, তাঁর জীবন রক্ষা হয় না। এ তো গেল রাশিচক্র বিচারের ফল। কিন্তু হস্তরেখা বিচারের মাধ্যমেও শরীরে রোগ লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। দেখে নেওয়া যাক উল্লেখিত রোগের প্রবণতা ও প্রতিকার কী হতে পারে:
ব্রন:
১। রাহু ও মঙ্গলের ক্ষেত্রে একাধিক রেখা বা দাগ দেখা যায়। ব্রন দীর্ঘমেয়াদী রোগে পরিণত হলে মঙ্গল বা রাহুতে তিল বা বিশেষ কালো আভা থাকবে এবং মঙ্গলের ক্ষেত্র হবে দুর্বল।
২। মেয়েদের ব্রনের জন্য শুক্র ও চন্দ্র ক্ষেত্র দুর্বল থাকে।
৩। ব্রন থেকে দুষ্ট ক্ষতের সৃষ্টি হয় শনির ক্ষেত্র দুর্বল হলে।
আরও পড়ুন: হাতের রেখায় বিভিন্ন রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার (প্রথম পর্ব)
অর্শ রোগ:
১। করতলে মঙ্গলের ক্ষেত্র দুর্বল, তিল, ক্রশযুক্ত, কালো বা লালাভ থাকলে। মঙ্গলের ক্ষেত্রে তিল অর্শরোগের কারণে অস্ত্রোপচার ডেকে আনে। চন্দ্র ও মঙ্গলের সীমা বরাবর তিল অর্শরোগ থেকে অব্যাহতি দেয় না।
২। অর্শরোগীর নখের রং হয় অনুজ্জ্বল কালচে অথবা গাঢ় চাল ধোয়া জলের মতো ঘোলাটে।
৩। বৃহস্পতির ক্ষেত্রগুলি, চাতাল ও বিবর্ণ থাকলে অর্শরোগের সূচনা করে। বৃহস্পতির তিল বহু ক্ষেত্রেই এই রোগ বহন করে।
৪। শুক্র ক্ষেত্র দুর্বল, কর্কশ, শুক্রক্ষেত্রের ত্বক পুরু, বিশেষ কু-চিহ্ন অর্শরোগকে বাড়িয়ে তোলে।
রত্ন প্রতিকার: রক্ত প্রবাল ও ক্যাটসআই শ্রেষ্ঠ রত্ন। তা ছাড়া প্রয়োজন মতো বিচার করে পোখরাজ, জারকন, মুনস্টোন বা মুক্তা প্রভৃতি ধারণ করতে হবে।