নখগুলিতে একটু চাপ দিয়ে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, আঙুলের সঙ্গে নখ যেখানে যুক্ত থাকে, তার উপরে অর্ধবৃত্ত একটি চিহ্ন দেখা যায়। একে বলে নখের চন্দ্রমা। এই চন্দ্রমা আকারে ছোট-বড় হয়। এর থেকে নানা ফল বোঝা যায়।
এখন দেখে নেওয়া যাক চন্দ্রমার আকার অনুসারে কী রূপ ফল পাওয়া যায়-
১। নখের চন্দ্রমা বৃদ্ধাঙ্গুলিতে বড় থাকলে প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও সবল হৃদযন্ত্রের অধিকারী বোঝায়। এদের দেহে রক্তপ্রবাহ ভাল চলে। স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
২। প্রতিটি আঙুলে বড় চন্দ্রমা থাকলে তার শ্লেষ্মাঘটিত কোনও না কোনও রোগ হয়। এইরূপ বড় চন্দ্রমা তাই ভাল লক্ষণ নয়। এর ফলে হৃদযন্ত্র ও রক্তবাহী শিরা ও উপশিরা প্রভৃতি আক্রান্ত হয়। এদের হৃদরোগ হওয়ার যোগ থাকে।
এদের হার্টে চাপ বেশি পড়ে বলে, এদের পালস্ রেট বা নাড়ির গতি দ্রুত হয়। বেশি গরমে এদের রক্তচাপের রোগ হয়। এদের মাথায় রোগ হতে পারে। এই রোগে এরা হঠাৎ মারা যেতেও পারে।
৩। চন্দ্রমা মাঝারী হলে তা খুব ভাল। এদের স্বাস্থ্য বেশ ভাল থাকে। এদের রক্তচাপ বেশি বা কম হয় না। এদের বুদ্ধি স্থির হয় না। এরা প্রায়ই অস্থির হয়।
আরও পড়ুন: মেয়েদের কোন হাত দেখে ভাগ্য বিচার করা হয় জানেন?
৪। খুব ছোট চন্দ্রমা হৃদয়ের রোগ, হৃদয়ের দুর্বলতা, ধীর রক্তস্পন্দন, লো প্রেসার, পেটের গোলমাল, শক্তি কম এবং মনের অবসাদ বোঝায়।
৫। চন্দ্রমা সাদা বা গোলাপী রঙের হলে, তা খুব ভাল। তাদের পার্থিব উন্নতি হয়, সাম্য ভাব থাকে, মন হয় উন্নত ও স্থির। এরা হয় দীর্ঘায়ু। এদের জীবনে কষ্ট কম হয়। এরা পার্থিব জীবনেও প্রচুর ঊর্ধ্বে উঠতে পারে।
৬। চন্দ্রমা কালচে নীল বা বেগুনী হলে তা ভাল লক্ষণ নয়। এদের স্বাস্থ্য খুব খারাপ হয়। এই লোকেদের মাংসপেশী এবং স্নায়ুর শক্তি কম থাকে। এরা খুব অসুস্থ ও মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে বুঝতে হবে।