প্রতীকী চিত্র।
অন্নের সঙ্গে বা আরও বিশদ ভাবে বললে খাবারের সঙ্গে স্বয়ং দেবী অন্নপুর্ণা এবং মা লক্ষ্মীর সম্পর্ক রয়েছে। যদি কোনও ভাবে খাবারের অপমান হয়, তা হলে মনে করা হয় তা ঈশ্বরের অপমান। তাই রান্নাঘরে বা খাওয়ার সময় বিশেষ কিছু নিয়ম পালন করতে হয়, তা হলে জীবন খুব সুখ-শান্তিতে কাটে। আর যদি এই নিয়মের পালন না করা হয়, তা হলে জীবনে সমস্যা আসতে, বিশেষ করে দারিদ্র দেখা দিতে খুব বেশি সময় লাগে না।
জেনে নিন সেই নিয়মগুলি—
১) খেতে বসে সবার প্রথমে ভগবানের উদ্দেশ্যে খাবার নিবেদন করে তবেই খাওয়া শুরু করুন বা খাওয়ার আগে প্রথম অংশটিকে প্রণাম করে তবেই খাওয়া শুরু করুন।
২) অবশ্যই মনে রাখবেন, খাবার খেতে খেতে অর্থাৎ এঁটো হাতে কখনই নুন নেবেন না বা দেবেন না।
৩) কখনও পরিবেশনের সময় কারও প্লেটে একসঙ্গে তিনটে রুটি দিতে নেই। আর যদি কোনও ভাবে তিনটে রুটিই প্রয়োজন হয়, তা হলে প্রথমে দুটো ও পরে একটা দিতে হবে।
৪) কোনও দোকানদারের কাছ থেকে নুন কখনও ধার চাইবেন না। ধার করে নুন নেওয়া দারিদ্রের লক্ষণ বলে মানা হয়।
৫) খেতে খেতে এঁটো হাতে পরিবেশন করা উচিত নয়।
৬) যাঁরা মাটিতে বসে খাবার খান, তাঁরা খাওয়ার সময় অবশ্যই একটি আসনে বসে খাবার খাবেন।
৭) যদি কোনও ভাবে নুন হাত থেকে পড়ে যায় তা হলে পা দিয়ে কখনও তা পরিষ্কার করবেন না।
৮) অনেকেই খাওয়ার শেষে থালায় হাত ধুয়ে নেন, এটি খুবই খারাপ অভ্যাস, কারণ এতে দারিদ্র ঘিরে ধরে।
৯) একটা বিষয় খুব ভাল ভাবে খেয়াল রাখতে হবে, যেন কোনও ভাবে খাবার অপচয় না হয়, এতে দেবী অন্নপুর্ণা এবং মা লক্ষ্মী খুবই রুষ্ট হন।