মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের ফাঁড়া কাটানোর জন্য কয়েকটি জিনিসের প্রয়োজন। যে কোনও পূর্ণিমার দিন থেকে এই উপায় শুরু করতে হবে। অল্প কেওড়া জল, সাদা চন্দন, হলুদ গুঁড়ো (নতুন প্যাকেট থেকে নেওয়া), একটি পদ্ম ফুলের ডাঁটি, একটি রুমালের সাইজ করে কেটে নেওয়া হলুদ রঙের কাপড় এবং একটি টাটকা কলাপাতার নিখুঁত ছোটো অংশ নিন।
এখন দেখে নেওয়া যাক উপায়টি কী ভাবে সম্পন্ন করবেন:
প্রথমেই পূর্ণিমার দিন সকালে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে নিজেকে শুদ্ধ করে নিন।এর পর ঠাকুরের আসনের কাছে বসুন। প্রথমেই একটি ছোট বাটি বা ছোট ডিশে অল্প কেওড়া জল, হলুদ গুঁড়ো ও সাদা চন্দন ভাল করে মিশিয়ে নিন। তার পর পদ্ম ফুলের ডাঁটির সাহায্যে তৈরি করা মিশ্রণ দিয়ে কলা পাতার উপর ‘লক্ষ্মী নারায়ণ কষ্ট নিবারণ’ এই মন্ত্রটি লিখুন।
এ বার লেখাটিকে একটু শুকোতে দিন। একটি ঘিয়ের প্রদীপ ও ধূপ জ্বালান। তার পর কলাপাতাটি হলুদ কাপড়ের মধ্যে রেখে বেঁধে নিন। ঘরে যদি লক্ষ্মী-নারায়ণের ছবি বা মূর্তি থাকে, তা হলে তার সামনে হলুদ কাপড়ে বাঁধা কলাপাতাটি রাখুন। এর পর লক্ষ্মী-নারায়ণকে স্মরণ করে নিজের কষ্ট বলুন, নিজের সুরক্ষার কথা বলুন। ধূপ ও দীপ দেখান।
আরও পড়ুন: কন্যা থেকে মীন রাশির ব্যক্তিরা কেমন ভাবে ধর্মাচরণ করে
এর পর হলুদ কাপড়টি ওখানে রেখে দিন। প্রতি দিন ওটিতে ধূপ ও দীপ অবশ্যই দেখাবেন এবং মনের কষ্ট বলবেন। মহিলারা পিরিয়ডের দিনগুলোতে ধূপ ও দীপ দেখাবেন না। শুরুর দিন থেকে পর পর মোট ১৭ দিন ধূপ ও দীপ দেখাবেন। এবং মনের কষ্ট বলতে হবে। ১৮ দিনের মাথায় হলুদ কাপড়ে মোড়া জিনিসটি পুকুরে বা নদীতে বিসর্জন দিয়ে দিন।
প্রয়োজন হলে আবার এই উপায় তিন মাস বা ছয় মাস কিংবা এক বছর পরে করতে পারেন।