ভারতীয় জ্যোতিষ মতে, অর্থাৎ জন্মছকে কেতুগ্রহের দশা-অন্তর্দশা দেখে ফাঁড়া জানা সম্ভব হয়। মঙ্গল এবং কেতুর অবস্থান থেকে দুর্ঘটনায় মৃত্যু আছে কি না তা-ও বলা যায়। যে কোনও ফাঁড়া আমাদের জীবনকে তছনছ করে দিতে পারে, ফাঁড়া অনেক রকম ভাবে হতে পারে, যেমন দুর্ঘটনার ফলে ফাঁড়া, কারও ষড়যন্ত্রের ফলে ফাঁড়া, হঠাৎ বড় কোনও রোগে ফাঁড়া, তীর্থে গিয়ে ফাঁড়া, ইত্যাদি নানা রকম দিক থেকে ফাঁড়া আসতে পারে।
এ বার আসুন জেনে নেওয়া যাক ফাঁড়া বা মৃত্যুযোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার কিছু উপায়—
১। ভারতীয় মত অনুযায়ী মৃত্যুঞ্জয় কবচ ধারণ করুন।
২। প্রত্যেক মঙ্গল ও শনিবার হনুমানজিকে লাড্ডু ও মেটে সিঁদুর দিয়ে আয়ু ও দীর্ঘজীবন প্রার্থনা করুন।
আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী কতটা ঘুম এবং কেমন পরিবেশ আপনার প্রিয়, জেনে নিন
৩। বাড়িতে বাস্তু দোষ আছে কি না তা জেনে নিন। থাকলে তার খুব দ্রুত প্রতিকার করুন।
৪। কেতু, মঙ্গল ও রাহু যদি খারাপ থাকে তা হলে সময় থাকতে প্রতিকার করুন, একদম দেরি করবেন না।
৫। সন্তানের ফাঁড়া থাকলে মা-বাবা, স্বামীর ফাঁড়া থাকলে স্ত্রী কায়মনোবাক্যে এবং বিধিমতে শিবের পূজা করুন।
৬। বাড়িতে অশুভ শক্তি আটকাতে বাড়ির প্রবেশদ্বারের উপর হনুমানজির মূর্তি স্থাপন করুন।
৭। স্নানের সময় নাভিতে ও বুড়ো আঙুলের নখে অবশ্যই সর্ষের তেল ব্যবহার করুন, অকালমৃত্যুর আশঙ্কা দূর হবে।
৮। মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করুন।