—প্রতীকী ছবি।
আগামী ২৬ অগস্ট, সোমবার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি জন্মাষ্টমী। এটি একটি পবিত্র দিন। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এই দিনের মাহাত্ম্য অপরিসীম। বিশেষ কিছু টোটকা পালনের মাধ্যমে এই দিন আপনি শ্রীকৃষ্ণ বা গোপাল ঠাকুরকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন। যার ফলে জীবনের নানা দিকে শুভ ফল পাওয়া যাবে।
কী কী টোটকা মেনে চলবেন?
১) জন্মাষ্টমীর দিন ভোগে গোপালকে কেশর মিশিয়ে ক্ষীর তৈরি করে দিন।
২) যদি সম্ভব হয়, এই দিন সকাল থেকে উপবাস রেখে, সন্ধ্যাবেলা গোপালের পুজো করে তার পর আহার গ্রহণ করুন।
৩) বাড়িতে গোপালের ছোট দোলনা থাকলে, এই দিন অবশ্যই গোপালকে দোলনায় চড়ান।
৪) জন্মাষ্টমীর দিন শ্রীকৃষ্ণ বা গোপালকে তুলসী পাতার মালা পরানো খুবই শুভ।
৫) জন্মাষ্টমীর তিথি চলাকালীন কাঁচা দুধের সঙ্গে গোলাপ বা পদ্ম ফুলের পাপড়ি, গোলাপ জল, সাদা চন্দন এবং সামান্য কর্পূর মিশিয়ে শ্রীকৃষ্ণ বা গোপালের অভিষেক করান।
৬) এই দিন বাড়িতে আমিষ খাবার খাবেন না, নিরামিষ খাবার খান।
৭) জন্মাষ্টমীর দিন এক জোড়া তুলসীপাতায় সাদা চন্দন মাখিয়ে তা কিছু ক্ষণ শুকিয়ে নিন। তার পর শ্রীকৃষ্ণের চরণে অর্পণ করুন। মনে রাখবেন, শ্রীকৃষ্ণ বা শ্রীবিষ্ণুর চরণে সব সময় এক জোড়া তুলসীপাতা অর্পণ করতে হয়, একটা তুলসীপাতা অর্পণ করতে নেই।
৮) এই দিন অবশ্যই শ্রীকৃষ্ণ বা গোপালের সারা শরীরে ঘি বা মাখন মাখিয়ে নিন, তার পর যে কোনও রূপার পাত্রে বা দক্ষিনাবর্ত শঙ্খে কাঁচা দুধ ও গঙ্গাজল একসঙ্গে মিশিয়ে স্নান করান।
৯) সম্ভব হলে জন্মাষ্টমীর দিন শ্রীকৃষ্ণের হাতে একটা রূপার বাঁশি রেখে দিন। পরের দিন সেই বাঁশিটা নিয়ে নিজের টাকা রাখার জায়গায় রাখুন, অর্থলাভ হবে।
১০) জন্মাষ্টমীর পরের দিন বাড়িতে সাধ্য মতো কয়েক জন শিশুকে খাবার খাওয়ান।
১১) ময়ূরের পালক শ্রীকৃষ্ণের অত্যন্ত পছন্দের একটা জিনিস, তাই এই দিন অবশ্যই পুজোর আসনে ময়ূরের পালক রাখুন।