প্রতীকী চিত্র।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ শুক্রবার বিশ্বকর্মা পুজো। আমরা জানি বিশ্বকর্মা দেবশিল্পী। মনে করা হয় এই দিন বিশ্বকর্মার জন্মদিবস। কী ভাবে আমাদের জীবনে শিল্পবিদ্যা বা কারিগরি বিদ্যা ভাল এবং শুভ ফল দিতে পারে সেই তথ্য বিশ্বকর্মাই আমাদের প্রথম শিখিয়ে ছিলেন।
যাঁরা ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনিক্যাল লাইন, গাড়ি বা লোহার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের জন্য এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। একটি বিশেষ তথ্য আমাদের জেনে রাখা উচিত যে বাস্তুশাস্ত্র প্রথম বিশ্বকর্মাই তৈরি করেছিলেন। অর্থাৎ বাস্তুর আদিপুরুষ তিনি। সেই জন্য এই দিন বাস্তুকে দোষ মুক্ত করার অত্যন্ত শুভ দিন। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বিশেষ এই কাজ করে শিল্প তথা বাস্তুতেও উন্নতি সম্ভব।
টোটকা
১) যখন বিশ্বকর্মা পুজো হবে এবং বিশ্বকর্মা ঠাকুরকে যে আসনে প্রতিষ্ঠা করা হবে সেই আসনের নীচে দুটো পেরেক রেখে দিতে হবে। পুজো সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর সেই দুটো পেরেকের মধ্যে একটি পেরেক ব্যবসার ঘরের সদর দরজার সামনে পুঁতেও দিতে পারেন বা কালো কাপড়ে মুড়ে দরজার সামনে ঝুলিয়েও দিতে পারেন। অন্য পেরেকটি ঘরের পিছন দিকে পুঁতে দিতে পারেন বা কালো কাপড়ে মুড়ে ঝুলিয়েও দিতে পারেন। কারখানার ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম।
২) বিশ্বকর্মা পুজোর দিন রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের একটা জায়গা ভাল করে ধুয়ে সেখানে আলপনা দিয়ে আটটি পাপড়ি যুক্ত একটা পদ্মফুল আঁকুন। অবশ্যই মনে রাখবেন এই অঙ্কনটি নিজের আঙুল দিয়ে করতে হবে। তুলি ব্যবহার করা যাবে না। সেই জায়গা একটা ঘি বা তেলের প্রদীপ জ্বালুন। তার পর একটা সাদা বা হলুদ রঙের রুমাল নিন। সেই রুমালের মধ্যে একটা গোটা ফল, একটা লোহার যে কোনও জিনিস, একটা সাদা বা হলুদ ফুল এবং সামান্য কিছুটা ঘি রেখে রুমালের মুখটা বেঁধে দিন। তার পর যেখানে পদ্মফুল এঁকেছিলেন সেখানে এই রুমালটা পুঁতে দিন। যাঁরা পুঁততে পারবেন না তাঁরা অন্তত আট দিন সেই জায়গায় রুমালটি ঝুলিয়ে রাখুন। তার পর রুমালটি জলে দিয়ে দিন। যারা ফ্ল্যাটে বসবাস করেন তাঁদের জন্য একই নিয়ম তবে তাঁদের ঘরের ভেতরে করতে হবে। এই ক্রিয়াটি বাস্তু দোষ কাটানোর জন্য অত্যন্ত উপযোগী।