১) যদি দেখা যায় আপনার সন্তানের পড়াশোনায় মন নেই বা সবসময় অন্যমনস্ক, চঞ্চল হয়ে ঘুরে বেড়াছে, তখন প্রথমেই তার পড়ার ঘরটিকে সবুজ রং করে দিন, নয়তো সবুজ পর্দায় চারপাশ ঘিরে দিন।
সেই সঙ্গে তাকে বলুন মা সরস্বতীর প্রার্থনা করতে, যে ঘরে পড়ে তার পড়ার টেবিলের দেওয়ালে বা সামনে সরস্বতীর একটি ছবি টাঙিয়ে দিন। পারলে মা সরস্বতীর এই বীজমন্ত্র ‘ওঁ শ্রীং হ্রীং সরস্বত্যৈ নমঃ’ পড়ার আগে ২১ বার জপ করতে বলুন।
আরও পড়ুন: শিরোরেখায় ছেদ বা ভগ্ন বা ওভারল্যাপ থাকলে কী ঘটে
২) সন্তানের বাবা বা মা হিসেবে কোনও বৃহস্পতিবারে পাঁচ ধরনের মিষ্টি ও দু’টি সবুজ এলাচ কোনও অশ্বত্থ গাছের গোড়ায় রেখে আসুন। এই ভাবে যে বৃহস্পতিবারে আরম্ভ করেছেন তার থেকে পর পর তিন দিন করে যান। এতে আপনার সন্তানের মনোযোগ ক্রমশ বৃদ্ধি হতে থাকবে।
৩) সন্তানের স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য একটি এক ইঞ্চি বাই এক ইঞ্চি বর্গাকার তামার পাত কেটে গলায় চেনের সাহায্যে ঝুলিয়ে দিন।
৪) একসঙ্গে একটি পাত্রে চিনি, রোলি ও গোলাপের পাপড়ি রেখে সূর্যদেবতার কাছে অর্পণ করুন। যে দিন সূর্যের কাছে অর্পণ করবেন সে দিন কিছু দান করুন। কোনও লাল জিনিস বা দুটো দেশলাইয়ের বাক্স ও নুনবিহীন কিছু খাবার কাউকে দান করুন।
৫) আপনার সন্তানের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রতি দিন এক চামচ তুলসির রস মধু সমেত ব্রেকফ্রাস্টের পর পান করাতে থাকুন।
৬) কোন মা-বাবা চান না তাঁর সন্তানকে শক্তিশালী করতে? সন্তানকে শক্তিশালী করতে প্রতি দিন ২১ বার গায়ত্রী মন্ত্র জপ করাতে শেখান। তার সঙ্গে পারলে ‘ওঁ’ মন্ত্র জপ করাতে।
৭) জন্মকুণ্ডলীতে আপনার সন্তানের বুধ গ্রহটি যদি বেশ কুপিত বা দুর্বল অবস্থায় থাকে, তার জন্য প্রতিকার হিসেবে কিছু আছোলা মুগডাল, দূর্ব এবং কিছু গোটা সবুজ এলাচ একটি পাত্রে করে যে কোনও বিনায়ক বা গণেশ মন্দিরে অর্পণ করুন। গণেশজির কাছে প্রার্থনা করুন যাতে আপনার সন্তান ভাল ভাবে পড়াশোনা করে যেতে পারে।
৮) আপনার সন্তান যে ঘরে শোয়, তার বিছানা যেন সেই ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে থাকে। আর শোবার সময় তার মাথাটা বিছানায় যেন থাকে পূর্ব দিক বা দক্ষিণ দিক করে।
৯) যে ঘরে আপনার সন্তান শোয়, সেই ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র যেন দেওয়াল থেকে কয়েক ইঞ্চি দূরে থাকে, কোনও আসবাবপত্র যেন দেওয়াল ঘেঁষে না থাকে, এতে ঘরের মধ্যে এনার্জি প্রবাহ খুব ভাল ভাবে হবে, আপনার সন্তানের শরীর ও মন খুব সতেজ থাকবে।
১০) যে টেবিলে বা ডেস্কের সামনে বসে পড়ে, সেখানে পড়ার সময় আপনার সন্তানের মুখটা যেন পূর্ব বা উত্তর বা উত্তর-পূর্ব কোণের দিকে থাকে।