প্রতীকী চিত্র।
হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে দেবাদিদেব মহাদেব এবং দেবী পার্বতীর বিবাহের দিন এই শিবরাত্রি। ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় মহা শিবরাত্রি। হিন্দুশাস্ত্র মতে সব ব্রতের সেরা শিবরাত্রির ব্রত। শিবরাত্রির ব্রতের বিশেষ কিছু নিয়ম আছে। এই ব্রতের পালন শুরু হয় শিবরাত্রির আগের দিন। সমাপ্ত হয় শিবরাত্রির পরের দিন। ব্রতের আগের দিন নিরামিষ আহার করা উচিত। ব্রতের দিন উপবাস থেকে গঙ্গাজল, দুধ, ঘি এবং মধু দিয়ে শিবলিঙ্গকে রাত্রি চার প্রহরে চার বার স্নান করিয়ে বেলপাতা, ধুতরো, আকন্দ, অপরাজিতা (নীল) ফুল এবং ফল মিষ্টি নিবেদনে শিবের আরাধনা এই ব্রতের নিয়ম। পরের দিন অতিথি ভোজন করিয়ে এই ব্রত উদযাপন সমাপ্ত হয়।
শিবরাত্রি মহাদেব এবং দেবী পার্বতীর বিবাহ তিথি। অর্থাৎ শিব তথা পুরুষ শক্তি এবং আদি শক্তির মিলন তিথি। এই তিথিতে দেবাদিদেব মহাদেব এবং দেবী পার্বতীর আরাধনায় অজ্ঞতা, অন্ধকার দুর হয়। পূরণ হয় মনের ইচ্ছা বাসনা।
আগামী ১ মার্চ, বাংলার ১৬ ফাল্গুন মঙ্গলবার পূর্ণ শিবরাত্রি ব্রত উপবাস।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে চতুর্থী তিথি আরম্ভ–
ইংরেজি– ২৮ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।
বাংলা– ১৫ ফাল্গুন সোমবার।
সময়– রাত ৩টে ১৮ মিনিট।
চতুর্থী তিথি শেষ–
ইংরেজি– ১ মার্চ, মঙ্গলবার।
বাংলা– ১৬ ফাল্গুন, মঙ্গলবার।
সময়– রাত ০১টা ০১ মিনিট।
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে চতুর্থী তিথি আরম্ভ–
ইংরেজি– ২৮ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।
বাংলা– ১৫ ফাল্গুন, সোমবার।
সময়– রাত ২টো ২০ মিনিট ২৮ সেকেন্ড।
চতুর্থী তিথি শেষ–
ইংরেজি– ১ মার্চ, মঙ্গলবার।
বাংলা– ১৬ ফাল্গুন, মঙ্গলবার।
সময়– রাত ১২টা ৩৭ মিনিট ৩২ সেকেন্ড।