আমরা জীবনের ছোট ছোট কথাগুলি প্রায়ই উপেক্ষা করে চলি। এই কথা কত বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা আমাদের জানা নেই। এখন দেখে নেওয়া যাক ২০১৯ সালে আপনার লগ্ন অনুসারে কী করণীয়-
মেষ লগ্ন-
১। লাল রং ব্যবহার করবেন।
২। প্রতি মঙ্গলবার নিরামিষ খাবেন।
৩। বাড়িতে হলুদ ফুলের গাছ বসান।
৪। যে কোনও শনিবার ক্ষৌরকার্য করবেন না।
৫। বৃহস্পতিবার কচু না খাওয়াই ভাল।
৬। অবশ্যই প্রতিদিন আদ্যাস্তোত্রম পাঠ করবেন।
৭। রাহুর শান্তি করা কর্তব্য। কারণ এ বছরের শুরুতে রাহু মহারাজ কর্কটে বসে আছেন। রাহুর শান্তি মানে রাহুর গ্রহরত্ন ধারণ নয়।
৮। এ বছর দীক্ষা নেওয়া ভাল।
৯। যদি সম্ভব হয় এ বছর বৈদ্যনাথ ধামে গিয়ে পুজো দিয়ে আসবেন।
১০। সম্ভব হলে বুধবার খাতা, পেনসিল, বই, পেন বা পড়াশোনার যে কোনও সামগ্রী দান করুন।
১১। শুভ কাজে উত্তর দিক বেশি ব্যবহার করুন।
১২। বুধবার ছাড়া সম্পত্তি, গাড়ি, কেনা বা বায়না করবেন না।
১৩। শুক্রবার স্বামী-স্ত্রী কামনা-বাসনা সম্ভোগ নিষেধ।
১৪। প্রতিদিন শিবের পূজা করুন।
১৫। অংশিদারী ব্যবসার শুরুর ক্ষেত্রে এ বছর তুলনামূলক ভাবে ভাল।
১৬। প্রয়োজন হলে মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে পারেন।
১৭। রূপা উপহার হিসাবে নেবেন না।
১৮। বাড়িতে পানগাছ বসানো উচিত উত্তর-পূর্ব দিকে।
বৃষ লগ্ন-
১। কালো রং বেশি ব্যবহার করবেন না।
২। প্রতি শুক্রবার নিরামিষ খাবেন।
৩। বাড়িতে সাদা ফুলের গাছ বসান।
৪। শনিবার ক্ষৌরকার্য করবেন না।
৫। কাজু বাদাম(শনি) না খাওয়াই ভাল।
৬। অবশ্যই প্রতিদিন ‘নবনাগ স্তোত্রম’ পাঠ করুন।
৭। ‘শুক্র’ গ্রহের শান্তি করা কর্তব্য। শান্তি অর্থাৎ রত্ন ধারণ নয়।
৮। অগস্ট মাস থেকে দীক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।
৯। এ বছর কামাক্ষা ধামে নিজে গিয়ে পুজো দিয়ে আসবেন।
১০। সম্ভব হলে মঙ্গলবার মুসুর ডাল দান করুন।
১১। শুভ কাজে পূর্ব দিক বেশি ব্যবহার করুন।
১২। শনিবার স্বামী-স্ত্রী কামনা-বাসনা নিষেধ।
১৩। যাদের লগ্নে মৃগশিরা নক্ষত্র, তারা বাড়িতে ছাদে প্যান্ডেল করবেন না।
১৪। অংশিদারী ব্যবসার জন্য ভাল নয় এ বছর।
১৫। প্রতিদিন শিবের পুজো করুন।
১৬। নার্ভের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
১৭। সোনার জিনিস উপহার হিসাবে নেবেন না।
১৮। বাড়িতে বহেড়া গাছ বসানো উচিত উত্তর-পূর্ব দিকে।
মিথুন লগ্ন-
১। সবুজ রং বেশি ব্যবহার করুন।
২। প্রতি শনিবার নিরামিষ খাবেন।
৩। বৃহস্পতিবার ক্ষৌরকার্য করবেন না।
৪। রোজ শিবলিঙ্গের ধ্যান করুন অন্তত ১ ঘণ্টা।
৫। শিং যুক্ত প্রাণীর খাবার (কেতু) খাওয়া যাবে না।
৬। ত্রম্বকেশ্বর মন্দিরে নিজে গিয়ে পুজো দিয়ে আসুন।
৭। শুভকাজে পূর্ব দিকটি বেশি করে কাজে লাগান।
৮। শনিবার এবং দিনের বেলায় স্বামী-স্ত্রী সম্ভোগ নিষেধ।
৯। রাত্রি ৮টার মধ্যে রাতের আহার শেষ করুন।
১০। লগ্নের নক্ষত্র আর্দ্রা হলে সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সমাপ্ত করুন।
১১। পকেটে সর্বদা কুবের মন্ত্র সাদা কাগজে লাল কালিতে লিখে রাখবেন। দিনে কমপক্ষে নয়বার পড়বেন।
১২। দীক্ষা নেওয়ার জন্য উপযুক্ত সময় এ বছর।
১৩। যে কোনও শনিবার প্রবাহমান জলে নারকেল ফেলতে পারেন।
১৪। মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করবেন না।
১৫। চামড়া বা চামড়াজাত দ্রব্য উপহার হিসাবে দেবেন না এবং নেবেন না।
১৬। তিন বা তার অধিক চাকাযুক্ত যানবাহন থেকে সাবধান।
১৭। এ বছর বৃহস্পতিবার টাকা ধার না দেওয়াই ভাল।
১৮। বাড়িতে মৌরী গাছ বসানো উচিত উত্তর-পূর্ব দিকে।
কর্কট লগ্ন-
১। সাদা রং বেশি ব্যবহার করুন।
২। প্রতি রবিবার নিরামিষ খাবেন।
৩। শনিবার ক্ষৌরকার্য করবেন না।
৪। বৃহস্পতিবার পাকা কলা দান করুন।
৫। প্রত্যহ ‘নবগ্রহ স্তোত্রম’ পাঠ করুন।
৬। বাড়িতে সাদা ফুলের গাছ বসান।
৭। শনির শান্তি করা কর্তব্য। শনির শান্তি অর্থাৎ শনির গ্রহরত্ন ধারণ নয়।
৮। ১৩ ডিসেম্বরের পর দীক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।
৯। রবিবার স্বামী-স্ত্রী সম্ভোগ নিষেধ।
১০। স্টিলের পাত্রে ভোজন করবেন না।
১১। সম্পত্তি, বাড়ি, যানবাহন কেনার জন্য উপযুক্ত সময় নয়।
১২। হঠকারিতা এবং মাথা গরম থেকে সর্বদা সাবধান থাকুন। কারণ গোচরে লগ্নের ওপর রাহু।
১৩। মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে পারেন।
১৪। শুভকাজে পূর্ব দিক বেশি ব্যবহার করুন।
১৫। বক্রেশ্বর গিয়ে নিজে পূজা দিয়ে আসুন এ বছর।
১৬। খাবারের টুকরো পশু, পাখিকে দান করুন।
১৭। পিতা-মাতাকে প্রণাম করুন প্রতিদিন। সম্ভব না হলে ছবিতে প্রণাম করুন।
১৮। বাড়িতে চামেলী গাছ লাগান উত্তর-পূর্ব দিকে।
সিংহ লগ্ন-
১। লাল রং বেশি ব্যবহার করুন।
২। বাড়িতে লাল ফুলের গাছ বসান।
৩। শনিবার ক্ষৌরকার্য করবেন না।
৪। প্রতি রবিবার নিরামিষ খাবেন।
আরও পড়ুন: আপনার সন্তান কি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে?
৫। প্রতিদিন ‘আদ্যাস্তোস্ত্রম্’ পাঠ করুন।
৬। নিম (মঙ্গল) না খাওয়াই ভাল।
৭। মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে পারেন।
৮। দু’চাকার যানবাহন থেকে বিপদ আছে। সাবধানে থাকুন।
৯। সম্পত্তি না কেনাই ভাল।
১০। স্টিলের পাত্রে ভোজন করবেন না।
১১। অমাবস্যায় স্বামী-স্ত্রী সম্ভোগ নিষেধ।
১২। শুভ কাজে উত্তর-পশ্চিম দিক বেশি ব্যবহার করুন।
১৩। এ বছর দীক্ষা নেবেন না।
১৪। পেটের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
১৫। বাড়ির উত্তর দিকে কোনও ভারি বস্তু থাকলে তা সরিয়ে নিন।
১৬। তারাপীঠে গিয়ে চন্দ্রচূড় ভৈরবের পুজো দিয়ে আসুন।
১৭। পাহাড়ে বেড়াতে যাবেন না।
১৮। বাড়িতে অশ্বগন্ধা গাছ বসানো উচিত উত্তর-পূর্ব দিকে।
কন্যা লগ্ন-
১। সবুজ রং বেশি ব্যবহার করুন।
২। প্রতি শনিবার নিরামিষ খাবেন।
৩। প্রতিদিন ‘সূর্যমন্ত্র’ জপ করুন।
৪। নারকেল (রবি) না খাওয়াই ভাল।
৫। অমাবস্যায় স্বামী-স্ত্রী সম্ভোগ পরিত্যাজ্য।
৬। দীক্ষা না নেওয়াই ভাল।
৭। বাড়িতে টবে ছোট বটগাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করুন।
আরও পড়ুন: রাশি অনুসারে আপনার সকাল কী ভাবে শুরু করবেন
৮। ‘নমঃ হুং শ্রীং মঙ্গলায় নমঃ’ নীল কালিতে সাদা কাগজে লিখে সর্বদা বুক পকেটে রাখুন।
৯। রাহু গ্রহের শান্তি করা কর্তব্য। শান্তি অর্থাৎ বাহু গ্রহের রত্ন ধারণ নয়।
১০। হনুমানজি মন্দিরে নিজে গিয়ে পুজো দিন।
১১। ইষ্টদেবদেবীকে রাত্রে শোওয়ার সময় শুভরাত্রী জানাবেন।
১২। মাসে যে কোনও শনিবার নারকেল দান করুন।
১৩। শ্মশান বা শ্মশানের পাশের রাস্তা দিয়ে বেশি যাবেন না।
১৪। অগস্ট মাসের পর তারাপীঠে গিয়ে মা তারাকে পুজো দিয়ে আসুন।
১৫। লাল ফুলের গাছ লাগাবেন।
১৬। অংশিদারী ব্যবসার জন্য ভাল।
১৭। প্রয়োজন হলে মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে পারেন।
১৮। বাড়িতে অনন্তমূল গাছ বসানো উচিত উত্তর-পূর্ব দিকে।