ভগবান বিষ্ণু মহাবিশ্বের রক্ষক। যুগে যুগে ভিন্ন ভিন্ন অবতার রূপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছেন। তাদের প্রসন্ন করতে পারলে গ্রহদের আনুকূল্য লাভ করা যায়(বৃহৎ পরাশর হোরা শাস্ত্র অনুসারে)।
মৎস্য অবতার: ভগবান বিষ্ণুর প্রথম অবতার। মহাপ্রলয়ের থেকে উদ্ধারের জন্য এক বিশাল মৎস্যের রূপ নিয়েছিলেন। একটি নতুন যুগের সৃষ্টি করেছিলেন। কেতুকে ধ্বংসের সাথে তুলনা করা হয়। মৎস্য অবতারের আরাধনা কেতুর শুভ শক্তি, আধ্যাত্মিক শক্তি এবং গুপ্তজ্ঞান প্রদান করে।
কূর্ম অবতার: অমৃতের সন্ধানে সুমুদ্র মন্থন কালে, পর্বতটি সুমুদ্রে ডুবতে লাগল, কূর্মের রূপ ধরে ভগবান বিষ্ণু পর্বতের ওজন বহন করেছিলেন। এই কঠিন কর্মের সাথে শনিদেবের সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। কূর্ম অবতারের বন্দনায় শনিগ্রহের শুভ ফল প্রাপ্ত হয়।
বরাহ অবতার: ভগবান বিষ্ণুর তৃতীয় অবতার। বরাহ অবতারের আরাধনা নেতিবাচক শক্তিকে পরাস্ত করে রাহুর শুভশক্তি প্রদান করে।
আরও পড়ুন: শুভ কেতু যেমন সাফল্যে ভরিয়ে দেয়, অশুভ অবস্থায় আত্মহননও ঘটাতে পারে
নৃসিংহ অবতার: ভগবান বিষ্ণুর চতুর্থ অবতার। পরাক্রম এবং ইছা শক্তির প্রতীক মঙ্গল। নৃসিংহ অবতারের আরাধনায় পবিত্র ঐশ্বরিক শক্তি দ্বারা মঙ্গলের শুভ ফল প্রাপ্ত হয়।
বামন অবতার: বিষ্ণু দেবের পঞ্চম অবতার বামন। দেবগুরু বৃহস্পতির প্রতীক রূপ হিসাবে মানা হয়। বামন অবতারের আরাধনায় পবিত্র ঐশ্বরিক শক্তি দ্বারা বৃহস্পতি গ্রহের শুভশক্তি প্রাপ্ত হয়।
পরশুরাম অবতার: ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার। অসুরদের গুরু শুক্রের সঙ্গে সম্বন্ধ স্থাপন করা হয়। পরশুরাম অবতারের আরাধনায় শুক্রগ্রহের শুভ শক্তি প্রাপ্ত হয়।
রাম অবতার: সপ্তম অবতার, ভগবান রামের সাথে রামরাজত্বের কথা জড়িয়ে আছে। অর্থাৎ তিনি সত্যের প্রতীক, ঐশ্বরিক জ্যোতি। সূর্যদেবকে (রবি) তাঁর সঙ্গে সম্বন্ধিত করা হয়। ভগবান রামের অর্চনা সূর্যদেবের শুভ শক্তি প্রদান করে।
কৃষ্ণ অবতার: (মতান্তরে বলরাম) অষ্টম অবতার, কৃষ্ণের পূজা চন্দ্রের শুভফল দান করে।
বুদ্ধ অবতার: বিষ্ণু দেবের নবম অবতার, ভগবান বুদ্ধকে উদ্দেশ্য, যুক্তি, এবং জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ভগবান বুদ্ধের আরাধনাতে বুধ গ্রহের শুভশক্তি প্রাপ্ত হয়।
কল্কি অবতার: ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার কল্কি অবতার। ভগবান কল্কি কে সংযুক্ত নবগ্রহের প্রতিরূপ ভাবা হয়।