—প্রতীকী ছবি।
দেব এবং অসুরের ক্ষীরসাগর মন্থনকালে লক্ষ্মী দেবীর আবির্ভাব হয়। পুরাণ মতে দেবীলক্ষ্মীর আট রূপ এবং সেই আটটি রূপ আট প্রকার সম্পদের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা মনে করি দেবীলক্ষ্মী কেবল পার্থিব ধনসম্পদের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে বাস্তবে তিনি পার্থিব এবং অপার্থিব, উভয় সম্পদেরই দেবী। সোনা বা মূল্যবান ধাতু, জমি, বাড়ি যেমন সম্পদ, তেমনই সুস্থ সন্তান, বিদ্যা, জ্ঞান, ইত্যাদিও সম্পদের মধ্যেই পড়ে। দেবীলক্ষ্মী নানা রূপে পার্থিব এবং অপার্থিব, উভয় সম্পদেরই দেবী।
শ্রীশ্রী মহালক্ষ্মী বা আদিলক্ষ্মী
মহালক্ষ্মী বা আদিলক্ষ্মী হলেন দেবীলক্ষ্মীর প্রাচীন রূপ। তিনি হলেন ঋষি ভৃগুর কন্যা। দেবী আদিলক্ষ্মী বা মহালক্ষ্মীর চারটি হাত। দেবীর এক হাতে থাকে পদ্ম, এক হাতে সাদা পতাকা, অন্য দুই হাতে থাকে অভয় মুদ্রা এবং বারদা মুদ্রা। আদিলক্ষ্মী বা মহালক্ষ্মী গভীর আধ্যাত্মিক জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কিত। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, আদিলক্ষ্মী বা মহালক্ষ্মীর বৃহস্পতি গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। দীপান্বিতা অমাবস্যায় দেবী মহালক্ষ্মীর পুজো করা বৃহস্পতির অশুভ প্রতিকার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে–
অমাবস্যা শুরু-
বাংলা– ১৪ কার্তিক, বৃহস্পতিবার।
ইংরেজি– ৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার।
সময়– দুপুর ৩টে ৫৪ মিনিট।
অমাবস্যা শেষ –
বাংলা– ১৫ কার্তিক, শুক্রবার।
ইংরেজি– ১ নভেম্বর, শুক্রবার।
সময়– সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিট।
প্রদোষে সন্ধ্যা ৪টে ৫৬ মিনিট গতে রাত ৬টা ১৭ মিনিটের মধ্যে অলক্ষ্মীর বিদায় এবং শ্রীশ্রী মহালক্ষ্মীর পুজো।
গুপ্তপ্রেশ পঞ্জিকা অনুসারে –
অমাবস্যা শুরু-
বাংলা– ১৪ কার্তিক, বৃহস্পতিবার।
ইংরেজি– ৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার।
সময়– দুপুর ৩টে ৭ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড।
অলক্ষ্মী বিদায় এবং শ্রীশ্রী মহালক্ষ্মী পুজো।
অমাবস্যা শেষ –
বাংলা– ১৫ কার্তিক, শুক্রবার।
ইংরেজি– ১ নভেম্বর, শুক্রবার।
সময়– সন্ধ্যা ৫টা ৮ মিনিট ৭ সেকেন্ড।