জ্যোতিষ বা বাস্তুশাস্ত্র বিশ্বাস করলে এটাও বিশ্বাস করতে হবে যে, আমাদের সব কিছুর সঙ্গেই কোনও না কোনও গ্রহ সম্পর্কযুক্ত। এমনকি, আমাদের শখের জুতো জোড়ার সঙ্গেও। জুতোর সঙ্গে যে গ্রহ সম্পর্কযুক্ত, তা হল শনি মহারাজ। তাই অনেক ক্ষেত্রেই বলা হয়, যদি শনি দেবের কুপ্রভাব থাকে, তা হলে জুতো দান করতে। এর ফলে শনি দেবের কু-প্রকোপ অনেকটা কমে যায়।
অনেক সময় দেখা যায়, দুর্ভাগ্য এবং দুঃসময় যেন জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। সব কাজেই বাধা আসছে। যে কাজই করার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেই কাজই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে যে, এর পিছনে কোথাও দায়ী আপনার জুতো জোড়া।
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী এক জন মানুষের সৌভাগ্যের রাস্তা তাঁর পা-ই নির্ধারণ করে। পা কতটা পরিষ্কার আছে, তার উপর নির্ভর করে সৌভাগ্যলক্ষ্মীর কৃপা পাওয়া বা না পাওয়া। সেই কারণে কোথায় কেমন জুতো ব্যবহার করা উচিত বা উচিত নয়, সে বিষয়ে বাস্তুশাস্ত্রে নানাবিধ উপদেশ দেওয়া আছে।
জেনে নিন প্রকারভেদে জুতোর ব্যবহার:
১) চাকরির ইন্টারভিউ বা কোনও জরুরি কাজে যাওয়ার সময় কখনও ছেঁড়া জুতো পরতে নেই। এর ফলে যে কাজে যাওয়া হচ্ছে তা কখনও সফল হবে না।
২) বাদামী রঙের জুতো পরে অফিসে যাওয়া অত্যন্ত অশুভ। এতে আপনার অফিসের পরিবেশ ধীরে ধীরে খারাপ হতে শুরু করবে।
৩) উপহার পাওয়া জুতো ব্যবহার না করাই ভাল। এতে আপনি আপনার নির্ধারিত লক্ষ্যে কখনও পৌঁছতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: বাড়ির বাথরুম সঠিক দিকে আছে তো? না হলে কিন্তু সমস্যা হতে বাধ্য
৪) শিক্ষা বা ব্যাঙ্কের সঙ্গে যদি যুক্ত থাকেন, তা হলে কফি কালারের জুতো পরা যাবে না। এই রঙের জুতো আপনার পক্ষে অশুভ।
৫) যদি জল জাতীয় কোনও কাজে যুক্ত থাকেন, তা হলে নীল রঙের জুতো এড়িয়ে চলুন।
৬) স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত থাকলে সাদা রঙের জুতো পরা যাবে না।
৭) বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে জুতোর র্যাক করতে হবে।
৮) খাবার সময় জুতো পরা অত্যন্ত অমঙ্গলজনক বলে মনে করা হয়। যদি বাইরেও কোথাও খাওয়া হয়, চেষ্টা করুন জুতো খুলে রেখে খাবার খেতে।
৯) বাইরের জুতো পরে কখনও ঘরে ঢুকবেন না। এতে অশুভ শক্তি ঘরে প্রবেশ করে।
১০) একটা জুতোর মধ্যে আর একটা জুতো ঢুকিয়ে রাখা একেবারেই উচিত নয়।
১১) ঘরের মধ্যে জুতো ঝুলিয়ে রাখা অত্যন্ত অশুভ। এর ফলে বাড়ির বাসিন্দারা বার বার অসুস্থ হতে পারেন।
১২) নতুন হোক বা পুরনো, জুতো বিছানায় তুলতে নেই।
১৩) ছেঁড়া জুতো ঘরে জমিয়ে রাখতে নেই। এতে নেগেটিভ শক্তি প্রবেশ করে।
১৪) ঘরে পরার জুতো জোড়া কখনও বিছানার নীচে রাখা যাবে না।