দীপাবলি অর্থাৎ আলোর উৎসব। অমাবস্যার ঘোর অন্ধকার রাতে চারদিকে আলো ঝলকানি। জীবন থেকে দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণার অন্ধকার দূর করে জীবনে সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, সাফল্যের আলো জ্বালিয়ে দেওয়ার উৎসব।
দীপাবলির রাতে অর্থভাগ্য সমৃদ্ধ করতে এবং যে কোনও প্রকার সমস্যা এবং দুর্ভাগ্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনার রাশি অনুযায়ী কিছু উপায় পালন করুন-
মেষ রাশি-
দীপাবলির রাতে লাল চন্দন ও কেশর এক সঙ্গে বেটে চার ইঞ্চি বাই চার ইঞ্চি সাদা নতুন কাপড়ের ওপর ওই বাটা বস্তু রেখে ১০৮ বার মন্ত্র দ্বারা তাকে উজ্জীবিত করে ওই কাপড়টি সর্বদা নিজের কাছে রেখে দিন। এর ফলে সারা বছরই আপনার অর্থ ভাগ্য সমৃদ্ধ হবে এবং জীবনে সাফল্য আসবে।
মন্ত্রটি ১০৮ বার বলুন।
মন্ত্রঃ- ‘ওঁ ঐং ক্লীং স্বঃ’।
বৃষ রাশিঃ-
দু’টো ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন। প্রদীপ দু’টোর শিখাগুলো পরস্পরের সঙ্গে স্পর্শ করিয়ে মিলিয়ে রাখবেন। প্রদীপ দুটোর তলায় গম অথবা গমের আটা দেবেন। তারপর মন্ত্রটি ১০৮ বার বলুন।
মন্ত্রঃ- ‘ওঁ ঐং ক্লীং শ্রীং’।
মিথুন রাশিঃ-
কাঁচা অথবা শুকনো গোটা হলুদ গণেশজী ও মা লক্ষ্মীর চরণে ছুঁইয়ে হলুদটা নতুন সবুজ রঙের কাপড়ে মুড়ে এমন জায়গায় রাখুন, যাতে সারা বছর আর সরাতে না হয়। উত্তর দিকে মুখ করে তারপর মন্ত্রটি ১০৮ বার বলুন।
মন্ত্রঃ- ‘ওঁ ঐং ক্লীং স্বঃ’।
পরের বছর দীপাবলির সময় সবুজ কাপড়ে মুড়ে রাখা হলুদটি গঙ্গায় অথবা পুকুরে ফেলে দেবেন।
কর্কট রাশিঃ-
একটি নতুন ত্রিকোণ হলুদ কাপড়ে লাল কালিতে মন্ত্রটি লিখে নিজের ক্যাশ বাক্সে অথবা আলমারিতে রেখে দিন। তা হলে এই রাশির জতকরা সারা বছর অর্থ বৃদ্ধির বিভিন্ন সুযোগ পাবেন।
মন্ত্রঃ- ‘ওঁ ঐং ক্লীং শ্রীং’।
মন্ত্রটি লেখা হয়ে গেলে মুখে ১০৮ বার বলুন।
সিংহ রাশিঃ-
হাতে মৌলি নিয়ে ডান হাতের কবজিতে ছ’পাক ঘুরিয়ে বেঁধে নিন। মৌলি দশকর্মা ভাণ্ডারে পাওয়া যায়। প্রতি দিন সকালে স্নানের পরে হাতে বাঁধা মৌলিটি চুম্বন করুন। সেই সময় মন্ত্রটি ১০৮ বার বলুন। দীপাবলির রাতেও মৌলিটি হাতে বাঁধার পর মৌলিটিতে চুম্বন করে মন্ত্রটি ১০৮ বার বলবেন।
মন্ত্রঃ- ‘ওঁ হ্রীং শ্রীং স্বঃ’।
ছ’সপ্তাহ পরে মৌলিটি পাল্টাবেন। বেশ কয়েকটি জমে গেলে এক সঙ্গে জলে দেবেন।
কন্যা রাশিঃ-
রাতে এই মন্ত্রটি ১০৮ বার বলুন। মন্ত্রঃ- ‘ওঁ শ্রীং ঐং স্বঃ’।
তারপর রাতে মিষ্টি ভাত তৈরি করুন। আতপ চাল দিয়ে ভাত বানাবেন এবং তাতে অল্প চিনি ও সামান্য গুঁড়ো হলুদ দেবেন। এই ভাত রাতে ছাদের/ চালের ওপরে এমন জায়গায় রাখুন যাতে ভোরে কাক খেতে পারে। যদি রাতে রাখার অসুবিধে থাকে, তা হলে সকালে ভাতটা কাককে দিয়ে দেবেন।
তুলা রাশিঃ-
অল্প মেটে সিঁদুর ও ঘি মিশিয়ে নিন। তারপর দীপাবলির রাতে একটি বট পাতায় মেটে সিঁদুর ও ঘিয়ের মিশ্রণ দিয়ে মন্ত্রটি লিখে ঠাকুরের আসনে রেখে দিন। পরের দিন এটিকে গঙ্গায় বা পুকুরে দিয়ে দেবেন।
মন্ত্রঃ- ‘ওঁ হ্রীং ক্লীং শ্রীং’।
বৃশ্চিক রাশিঃ-
মন্ত্রঃ- ‘ওঁ ঐং ক্লীং স্বঃ’।
এই মন্ত্রটি ১০৮ বার বলুন।
সাদা চন্দন ও কেশর বেটে বট গাছের পাতার উপর ‘ওঁ শ্রীং শ্রীয়ে নমঃ’ লিখে পুকুরে ফেলে দেবেন। সে দিন ফেলতে না পারলে বট পাতাটি ঠাকুরের আসনে রেখে দিন। পর দিন সকালে পাতাটি পুকুরে ফেলে দেবেন।
ধনু রাশিঃ-
এগারোটি পান পাতা এবং এগারোটি পদ্মফুলের বীজ নিন। মেটে সিঁদুর ও ঘি মিশিয়ে নিন। এ বার এগারোটি পান পাতা নিয়ে প্রতিটি পান পাতার উপর মেটে সিঁদুর ও ঘিয়ের মিশ্রণ দিয়ে ‘শ্রী শ্রী’ লিখে তার উপর একটি করে পদ্মফুলের বীজ দিয়ে মন্ত্রটি ১০৮ বার বলুন। পরে নতুন লাল কাপড়ে সবটা মুড়ে নিয়ে ক্যাশ বাক্স বা লকারে রেখে দিন।
মন্ত্রঃ- ‘ওঁ হ্রীং ঐং ক্লীং শ্রীং’।
মকর রাশিঃ-
এই মন্ত্রটি ১০৮ বার বলুন, মন্ত্রঃ- ‘ওঁ ঐং ক্লীং হ্রীং সহঃ’।
তারপর সাতটি অশ্বত্থ গাছের পাতার উপর সাদা চন্দন দিয়ে ‘শ্রীং’ লিখে একটি নতুন সাদা কাপড়ের মধ্যে মুড়ে নিয়ে লাল সুতো দিয়ে বেঁধে ক্যাশ বাক্সে অথবা আলমারিতে রেখে দিন।
কুম্ভ রাশিঃ-
একটি বটপাতায় লাল চন্দন লাগিয়ে সাদা সুতোয় বেঁধে মন্ত্রটি ১০৮ বার বলে আলমারিতে রেখে দিন।
মন্ত্রঃ- ‘ওঁ হ্রীং ঐং ক্লীং শ্রীং’।
মীন রাশিঃ-
এই মন্ত্রটি ১০৮ বার বলুন, মন্ত্রঃ- ‘ওঁ হ্রীং ক্লীং সহঃ’।
এরপর সাদা চন্দনের মধ্যে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। একটি পান পাতার উপর হলুদ যুক্ত চন্দন দিয়ে ‘হ্রীং শ্রীং হ্রীং’ এই মন্ত্রটি লিখে নতুন হলুদ কাপড়ে বেঁধে আলমারির মধ্যে রেখে দেবেন।