শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবার যদি নিয়মনিষ্ঠা সহকারে শিবের পুজো করা যায় তা হলে যত কঠিন সঙ্কটই জীবনে আসুক না কেন তার হাত থেকে মুক্তি আবশ্যক। জ্যোতিষমতে জীবনে সঙ্কটের সময়ে শিবশঙ্করের পুজো করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিশেষ ভাবে মনে রাখা প্রয়োজন, শিবের উপবাস করার সময় কোনও ভুলভ্রান্তি যেন না হয়, এতে মহাদেব ক্রুদ্ধ হন বলে মনে করা হয়। নিয়মনিষ্ঠার মাধ্যমে শিবের পুজো করে জীবন থেকে অর্থ তথা সকল প্রকার সঙ্কটের হাত থেকে মুক্তি পান। যদি প্রতি সোমবার সম্ভব না হয় তবে প্রথম এবং শেষ সোমবার করা যেতে পারে।
রাশি অনুযায়ী কোন রাশির জাতক-জাতিকা কী ভাবে পুজো করলে এবং কী অর্পণ করলে দ্রুত ফল পাবে—
মেষ: মেষ রাশির জাতক-জাতিকারা পঞ্চামৃত শিবের পুজোয় অর্পণ করলে বেশি ফল পাবেন।
বৃষ: বৃষ রাশির জাতক-জাতিকারা পুজোর সময় কাঁচা দুধ অবশ্যই অর্পণ করুন।
মিথুন: মিথুন রাশির ব্যক্তিরা পুজোসামগ্রীতে সবুজ রঙের যেকোনও একটি ফল অবশ্যই রাখবেন।
আরও পড়ুন: এই সব রাশির মানুষ কাউকে সে ভাবে পাত্তা দেন না
কর্কট: এই রাশির ক্ষেত্রেও পঞ্চামৃত অর্পণ শুভ ফল প্রদানকারী হবে।
সিংহ: সিংহ রাশির ক্ষেত্রে দুধ ও দই পুজোর সামগ্রীতে রাখতেই হবে।
কন্যা: কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারা পুজোর সময় সবুজ বস্ত্র পরিধান করুন।
তুলা: এই রাশির ক্ষেত্রে অন্যান্য সব সামগ্রীর মধ্যে বাতাসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বৃশ্চিক: বৃশ্চিক রাশির ক্ষেত্রে দুধ দিয়েই শিবের পুজো করতে হবে।
ধনু: ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা গঙ্গাজলে কেশর মিশিয়ে শিবের মাথায় ঢালুন।
মকর: মকর রাশির ব্যক্তিরা দুধ ও গঙ্গাজল ঢালতে পারেন। শিবের মন্ত্র উচ্চারণ আবশ্যিক।
কুম্ভ: কুম্ভ রাশির ক্ষেত্রে নীল বস্ত্র পরিধান করতে হবে এবং নীলকণ্ঠ ফুল অর্পণ করতে হবে।
মীন: মীন রাশির জাতক-জাতিকারা হলুদ রঙের ফুল ও ফল অর্পণ করতে পারেন।