বাংলা বছরের চতুর্থ মাস শ্রাবণ। শ্রাবণা নক্ষত্রের নাম থেকেই শ্রাবণ মাসের নামকরণ। শ্রাবণ মাসে সূর্যদেব কর্কট রাশিতে পুনর্বাসু নক্ষত্রের চতুর্থ পদে যাত্রা শুরু করে পুষ্যা এবং অশ্লেষা (কর্কট রাশি) নক্ষত্রে অবস্থান করবে।
শ্রাবণ মাস দেবাদিদেব মহাদেবের খুব প্রিয় মাস। হিমালয় কন্যা পার্বতী মহাদেবের জীবনে স্ত্রী হিসাবে ফিরে আসেন এই মাসে।
পৌরাণিক মতে অমৃতের সন্ধানে দেবতা এবং দানবদের সুমুদ্রমন্থন হয় এই শ্রাবণ মাসে। সুমুদ্র মন্থনের সময় অমৃতের সঙ্গে প্রাপ্ত হয় হলাহল (বিষ) যা পৃথিবী এবং জীব কূল ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট। দেব এবং অসুরকুল চিন্তিত হন হলাহলের কারণে। দেবাদিদেব মহাদেব এই হলাহল নিজের কণ্ঠে ধারণ করে (পান করে) নীলকণ্ঠ রূপে পৃথিবীকে বিষ মুক্ত করেন। বিষের তীব্র জ্বালা উপশমের জন্য দেবতারা নীলকণ্ঠকে জল দান করেন। অবশেষে পার্বতী দুগ্ধ দান করে দেবাদিদেবের জ্বালা নিবারণ করেন। শ্রাবণ মাসে প্রতিষ্ঠিত শিব লিঙ্গে পঞ্চামৃত অভিষেকে বিশেষ শুভ ফল লাভ হয়, বিশেষত শ্রাবণের সোমবারে।
আরও পড়ুন: সঙ্কট থেকে বাঁচতে পুজো করুন শিবের, রাশি অনুযায়ী পালন করুন শ্রাবণ মাসের সোমবার
মহাদেবের প্রিয় ফুল ধুতরো এবং আকন্দ। প্রিয় ফল বেল। প্রিয় বেল পাতা। শ্রাবণের সোমবারে মহাদেবের প্রিয় ফুল, ফল, বেল পাতা এবং পঞ্চামৃত (দুধ, দই, মাখন, ঘি, মধু) এবং মিছরি সহযোগে মহাদেবের পূজা মনের ইছা পূরণ করে। পূজা শেষে মহাদেবকে ফলদান করলে শুভ ফল পাবেন।
শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা (শ্রবণা নক্ষত্র) বিষ্ণুদেবের জন্ম নক্ষত্র। শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমায় বিষ্ণুদেবের পূজা বিশেষ শুভ ফল দান করে।
শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা ঝুলন পূর্ণিমা নামে পরিচিত। ঝুলন উৎসব রাধা কৃষ্ণের প্রেমের উৎসব। (১৪ শ্রাবণ ৩০ জুলাই বৃহস্পতি বার ঝুলনযাত্রা আরম্ভ)।
শ্রীকৃষ্ণের জন্ম উৎসব জন্মাষ্টমী (২৭ শ্রাবণ ১২ অগস্ট বুধবার)।