ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গীতে হর্ষবর্ধনের সিংহাসন আরোহন কালকে ‘হর্ষাবদ্ধ’ বলা হয়। ৬৩৭-৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত অন্য কোনও প্রর্বতিত অব্দ সম্পর্কে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
অপর দিকে ৬০৬ খ্রিস্টাব্দে হর্ষবর্ধনের সিংহাসনে বসার আগেই অনুমান করা হয় ৫৯৩ খ্রিস্টাব্দে শশাঙ্ক গৌড়ের সিংহাসন আরোহণ করেছিলেন। এই ৫৯৩ খ্রিস্টাব্দ বঙ্গাব্দের ক্ষেত্রে মাইল প্রস্তরের মতো অব্দাঙ্ক। কারণ ২০১৯ থেকে ৫৯৩ বিয়োগ করলে আমরা বর্তমান বঙ্গাব্দ ১৪২৬-কে পেয়ে থাকি। সিংহাসন আরোহণকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বিষুব সংক্রান্তির পরদিন ১ বৈশাখ থেকে সম্রাট শশাঙ্ক বঙ্গাব্দের প্রবর্তন করেন। পয়লা বৈশাখ দিনটি বঙ্গাব্দের সূচনা দিবস রূপে নির্ধারিত হল কেন?
এ ক্ষেত্রে সেই সময় সৌরাষ্ট্র থেকে বঙ্গাব্দ পর্যন্ত বিস্তৃত গুপ্তোত্তর ভারতবর্ষে প্রচলিত গুপ্তাব্দের ঐতিহ্যকে শশাঙ্ক অনুসরণ করেছিলেন। গুপ্তযুগের জ্যোর্তিবিদ বরাহমিহির তাঁর বৃহত্ সংহিতায় বলেছেন, ২৪০ অব্দে (৩১৯ খ্রিস্টাব্দ) চৈত্র সংক্রান্তি বা ১ বৈশাখ প্রথম চন্দ্রগুপ্ত তাঁর অভিষেকের দিন গুপ্তাব্দের সূচনা করেন।
আরও পড়ুন: একটি নারকেল কী ভাবে পারে আপনার ভাগ্য ফিরিয়ে দিতে
এই ১ বৈশাখের দিনে বা বাংলার অভিধানিক অর্থে বলা যেতে পারে হালখাতা শুভ সূচনা দিবস। এই দিন বাঙালিরা যে দেবতার পূজার্চনায় সমগ্র সময় ব্যস্ত থাকেন, তিনি দেবাদিদেব মহাদেবের পুত্র গণেশ। সমস্ত দেবদেবীর পুজোর মধ্যে গণেশের পুজো সর্বপ্রথম করতে হবে। তিনিই সর্বসিদ্ধিদাতা। লক্ষ্মীদেবী ধনের দেবী হিসাবে পূজিত হন। এই কারণে দেবী লক্ষ্মীকে গণেশের সঙ্গে পুজো করা হয়।
এখন দেখে নেওয়া যাক নতুন বছরে প্রথম পুজোর নির্ঘণ্ট ও সময়সূচি:
বাংলা তারিখ: ১ বৈশাখ ১৪২৬, সোমবার।
ইং তারিখ: ১৫/৪/২০১৯।
সময়: সকাল ঘ ৬/৫৫ মিনিট মধ্যে পুনরায় সকাল ঘ ৮/২৯ মিনিট থেকে দিবা ২/৩২ মিনিট মধ্যে।