বিভিন্ন দোষপূর্ণ লক্ষণ এবং মস্তিষ্করেখা মঙ্গল থেকে উৎপন্ন হয়। এর ফলে এই ধরনের জাতক-জাতিকারা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে বিপদের বা শাস্তির ভয় না করেই । এই লক্ষণযুক্ত নারীরা অনেক সময় তাদের স্বামীকেও ঠকাতে পিছপা হয় না। সুতরাং এই ধরনের লক্ষণ কোনও জাতিকার পক্ষে অত্যন্ত ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনতে পারে।
সুতরাং অপরাধ প্রবণতার বিভিন্ন লক্ষণ দেখে নেওয়া যাক
১। লালবর্ণ হস্ত
২। শক্ত ও পিছনের দিকে বাঁকা বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ
৩। ছোট ছোট এবং মোটা মোটা অঙ্গুলি
৪। সোজা জীবনরেখা
৫। মস্তিষ্করেখার মঙ্গল ক্ষেত্রে এসে সমাপ্ত হওয়া
৬। মঙ্গলের প্রাবল্য
৭। ভাগ্যরেখার মস্তিষ্করেখাতে পতন
৮। মস্তিষ্করেখা, জীবনরেখা বা ভাগ্যরেখাকে রাহু রেখার খণ্ডন
৯। বুধের অঙ্গুলি, অর্থাৎ কনিষ্ঠ-বাঁকা
১০। বৃহস্পতির অঙ্গুলি তর্জনী রবির অঙ্গুলি অর্থাৎ অনামিকার চেয়ে ছোট
১১। রবির অঙ্গুলি অর্থাৎ অনামিকা, শনির অঙ্গুলি অর্থাৎ মধ্যমার দিকে ঝুঁকে থাকা
১২। মঙ্গলস্থান থেকে বা জীবনরেখার সঙ্গে মস্তিষ্করেখার উৎপত্তি
১৩। ভাগ্যরেখা, হৃদয়রেখা ও জীবনরেখার স্থূলত্ব
১৪। হৃদয়রেখার শাখা বৃহস্পতি অথবা শনির উপর অবস্থান
১৫। শুক্রের উপর তিল
১৬। হৃদয়রেখা ও মস্তিষ্করেখা পাশাপাশি থাকা, যা মানবচিত্তের অস্থিরতাকে সূচিত করে।
এই ধরনের লক্ষণযুক্ত জাতক-জাতিকারা সারাজীবন খুঁজে মরে অজানা লক্ষ্যকে। যে কোনও একটি লক্ষ্যে এরা স্থির থাকতে পারে না।
এই সকল লক্ষণযুক্ত জাতক বা জাতিকা থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। এদের কাজকর্মের সঙ্গে নিজেকে বেশি যুক্ত না করাই উচিত। এরা নিজেরা অপরাধমূলক কাজকর্ম করে বিপদে পড়েই সঙ্গে সঙ্গে নিকটজনকেও সেই বিপদের মধ্যে টেনে আনতেও অধিক উৎসাহী হয়। হাতে এই সকল কুলক্ষণ অত্যন্ত বেশি মাত্রায় থাকলে জাতক বা জাতিকা হত্যাকাণ্ডেও লিপ্ত হতে পারে।