ভারতীয় সামুদ্রিক শাস্ত্র দেখে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বহু প্রাচীনকাল থেকেই বিবাহিত জীবন ও চরিত্র কেমন হবে শুধুমাত্র পায়ের আঙুল দেখেই বলে দিতে পারতেন। এখানে আমরা পায়ের আঙুল থেকে চরিত্র ও দাম্পত্যজীবন কেমন যাবে সেই সম্বন্ধে আলোচনা করব:
(১) আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার পায়ের তর্জনীর আঙুল যদি অন্য সব আঙুলের থেকে বড় হয়, তবে সংসার জীবনে তিনি সকলের উপর কর্তৃত্ব করবেন।ব্যক্তিজীবনে তিনি নেতা হবেন। এমন জায়গায় কাজ করবেন, যেখানে তিনি নেতৃত্ব দেবেন।
(২) হাঁটার সময় পায়ের অনামিকা ও কনিষ্ঠা যদি মাটি না ছোঁয়, তা হলে সেই মহিলা বিয়ের পরেই স্বামীকে হারাতে পারেন। এই হারানো অবশ্য বিচ্ছেদও হতে পারে। নানা কারণে সমাজ বা পরিবার তাঁকে বিশ্বাস করবে না।
(৩) কোনও মহিলা বা পুরুষের পায়ের মধ্যমা যদি বুড়ো আঙুল ও তর্জনীর চেয়ে বড় হয়, তবে তিনি তাঁর সঙ্গীর জন্য দুর্ভাগ্য ডেকে আনবেন। সেই সঙ্গে আরও অনেকের দুশ্চিন্তার কারণও হবেন।
(৪) কোনও মহিলা বা পুরুষের পায়ের মধ্যমা ও অনামিকা যদি সমান হয়ে থাকে, তা হলে বিয়ের পর তিনি তাঁর সঙ্গীর অর্থনৈতিক অবনতির কারণ হবেন। সঙ্গীর সঙ্গে দাম্পত্য সমস্যা লেগেই থাকবে।
আরও পড়ুন: গরম কবে কমবে? কী বলছে জ্যোতিষ
(৫) কোনও পুরুষ বা মহিলার বাম পায়ের তর্জনী যদি বুড়ো আঙুলের দিকে বেঁকে থাকে বা বুড়ো আঙুল ঘেঁষে থাকে, তা হলে বোঝায় তিনি খুব বেশি মাত্রায় আবেগপ্রবণ এবং নস্টালজিক চরিত্রের।
(৬) কোনও মহিলার যে কোনও পায়ের কনিষ্ঠার পিছনের দিকে, মানে পায়ের তলায় যদি কড়া পড়ে, তা হলে বোঝায় বিয়ের পর পরই তার কাঁধে অনেক দায়িত্ব এসে পড়বে।
(৭) কোনও পুরুষ বা মহিলার পায়ের তর্জনী ও মধ্যমার মাঝে যদি ফাঁক থাকে, তা হলে বোঝায় তিনি অন্তর্মুখী প্রকৃতির। এঁরা আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
(৮) কারও পায়ের কনিষ্ঠা যদি খুব ছোট হয়, তা হলে বুঝতে হবে, তাঁদের মানসিকতা শিশুসুলভ। তাঁরা সব সময় মজা করতে ভালবাসেন।
(৯) কোনও মহিলার পায়ের কনিষ্ঠার নখের দিকটা কিছুটা সূচালো গোছের হলে, তিনি আর পাঁচটা স্বাভাবিক চরিত্রের মহিলার মতো হবেন না, একটু অন্য রকম হবেন।