জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী সমাজের প্রত্যেকটি জীবন গ্রহ গণের চলনের উপর নির্ভরশীল। তাদের চলনে শুভত্ব অশুভত্বের জন্য সৃষ্টি হয় নানা সমস্যা, নানা শুভ অশুভ ঘটনা ও শত্রুতা। আপনার জন্মছকের গ্রহের অবস্থান দেখে নিন, আপনি শত্রুতার শিকার হচ্ছেন না তো?
১। কোনও জাতকের জন্মছকে লগ্নের সপ্তমে আর চতুর্থে যদি অশুভ গ্রহ অবস্থান করে তবে শত্রুকে বন্ধু ভাবায় প্রবল ভাবে লাঞ্ছিত হয়ে থাকে।
২। যদি জাতকের জন্মছকে রাহু সপ্তম ভাবগত হয়ে থাকে এবং অন্য বিবাদপ্রিয় কোনও পাপগ্রহের অবস্থান থাকে তবে সেই জাতক বিবাদ প্রিয় স্ত্রী লাভ করে থাকে এবং স্ত্রীর মৃত্যুতে লোকনিন্দা ঘটে, এমন কী কারাবাসও হয়ে থাকে।
৩। জন্মছকে ক্ষীণ চন্দ্র ষষ্ঠভাবগত হলে জাতক বা জাতিকার মানসিক অবস্থা খুব একটা ভাল থাকে না। সে সর্বদা শত্রু দ্বারা পীড়িত হয়ে থাকে। আবার যদি ষষ্ঠস্থানে দুর্বল বৃহস্পতি অবস্থান করে তবে সেই সব জাতক বা জাতিকা অর্থের কারণে শত্রুর কাছ থেকে দুঃখ কষ্ট ভোগ করে থাকে।
৪। যদি পঞ্চমপতি ষষ্ঠ গৃহে অবস্থান করে তাহলে জাতক জাতিকাকে অকারণে বিবাদে জড়াতে হতে পারে। গুপ্তশত্রুতার জন্য সন্তানের ক্ষতি হয়। আবার কোনও কোনও সময়ে দেখা যায় জাতকের পুত্র সন্তান শত্রুর মত আচরণ করে। ফলে ধনসম্পত্তি নষ্ট হয়ে থাকে। এমনকী নিজের সন্তান মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
৫। জন্মছকে সপ্তম ও অষ্টম ঘরে যদি পাপগ্রহ অথবা ভোগ কারক গ্রহ চন্দ্র ও শুক্র থাকে, তবে সেই জাতক বা জাতিকার যৌনচেতনা অতিরিক্ত বেশি থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্রে লিখিত আছে এই রকম পুরুষের বহু পত্নী লাভ হয় এবং স্ত্রী বৈধব্যের কারণ হয়ে থাকে।
৬। উত্তম ছকের অধিকারী সাধু ব্যক্তি জ্ঞাণত কোনও পাপ কাজ করে না। অজ্ঞাতশত্রু হিসেবে সুনাম আছে। অথচ হঠাৎ করে দেখা যাচ্ছে তার জীবনেও এমন সমস্যার আবির্ভাব ঘটেছে। এখানে গোচর বিচার মতে জাতকের জন্মরাশিতে বা লগ্নে অশুভ গ্রহের অবস্থান বা দৃষ্টির জন্য এরকম শত্রুতা হচ্ছে। তবে তা ক্ষণস্থায়ী।
৭। প্রত্যেক জাতক বা জাতিকা জন্মের পর থেকেই কোনও না কোনও দশা ভোগ করে। যদি জাতক বা জাতিকা ষষ্ঠপতির দশা ভোগ করে সেই সময় সেই ব্যক্তি নানাভাবে শত্রু দ্বারা পীড়িত হয়ে থাকে। সেই দশায় অস্থিরতায় ছটফট করে। জীবন বিষময় হয়ে ওঠে। অনেক ক্ষেত্রে প্রাণনাশও হয়ে থাকে।