আগামী আশ্বিন মাস মল মাস। মল মাস কী? চন্দ্র এবং সূর্যের গতির হিসাবের সমতা রক্ষার মাসই মল মাস। বর্ষপঞ্জিকা সাধারণত সূর্য এবং চন্দ্রের গতিভিত্তিক অর্থাৎ, সূর্য এবং চন্দ্রের গতির ওপর নির্ভর করে গণনা করা হয়।
তিথি এবং নক্ষত্রের হিসাব সাধারণত চন্দ্রের গতির উপর নির্ভর করে হয়। সূর্য এবং চন্দ্রের দূরত্বের ব্যবধান যখন ০ ডিগ্রি তখন অমাবস্যা। প্রত্যেক ১২ ডিগ্রির ব্যবধানে তিথির পরিবর্তন হয়। মেষ রাশির প্রথম ডিগ্রি থেকে প্রত্যেক ১৩ ডিগ্রি ২০ মিনিটের ব্যবধানে (চন্দ্রের ) নক্ষত্রের পরিবর্তন হয়। প্রত্যেক চন্দ্রমাস ২৯.৫৪ দিনে। চন্দ্রবর্ষ ৩৫৪.৩৬ দিনে।
সূর্য প্রত্যেক রাশিতে কমবেশি ৩০ দিন ১০ ঘণ্টা অবস্থান করে। মেষ রাশি থেকে শুরু করে ১২ রাশি ভ্রমণ করে পুনরায় মেষ রাশিতে ফিরতে সময় লাগে ৩৬৫.৫৪ দিন। অর্থাৎ সৌরবর্ষ ৩৬৫.৫৪ দিনে। পৃথিবীর নিজ কক্ষপথে ভ্রমণ করতে সময় লাগে ৩৬৫.৬৯ দিন।
আরও পড়ুন: বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৪২৬ সনের দুর্গাপূজার নির্ঘণ্ট
অর্থাৎ প্রত্যেক বৎসরের (চন্দ্রবর্ষ এবং সৌরবর্ষ) হিসাবে কম বেশি ১১.১৮ দিনের পার্থক্য হয়। এই পার্থক্য হিসাবে সাধারণত প্রত্যেক ৩২ মাস অন্তর ৩০ দিন বা ১ মাস বৃদ্ধি হয়। এই বৃদ্ধি মাসই অধিক মাস। অধিক মাস মল মাস এবং পুরুষোত্তম মাস নামেও পরিচিত। মলমাসে সাধারণত বিবাহ, অন্নপ্রাশন, গৃহ ক্রয়, গৃহপ্রবেশ, শুভ বস্তু ক্রয়ের মত শুভ কার্য করা হয় না। তবে পুরুষোত্তম মাস ভগবান শ্রী বিষ্ণুর পূজা এবং ধর্মশাস্ত্র পাঠের পক্ষে প্রশস্ত মাস এবং ওই কাজে শুভ ফল পাওয়া যায়।
১৪২৭ সনের আশ্বিন মাস (১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ অক্টোবর) অধিক মাস বা মলমাস বা পুরুষোত্তম মাস।
এই মাসে ১ আশ্বিন এবং ৩০ আশ্বিন অমাবস্যা।
১১ আশ্বিন এবং ২৭ আশ্বিন একাদশী।
১৫ আশ্বিন পূর্ণিমা।