(১) কেতু মেষে বা প্রথমভাবে: এখানে কেতু নির্দেশ করে গত জন্মে খুব বেশি সক্রিয় ছিল সব ব্যাপারে, কিন্তু সেই সঙ্গে বোঝায় ভীষণ আবেগপ্রবণ, হঠকারী ও আত্মকেন্দ্রিক।
(২) কেতু বৃষে বা দ্বিতীয়ভাবে: এখানে কেতু বোঝায় পূর্ব জন্মে স্বাভাবিক ভাবে ধনসম্পদের অধিকারী ছিল, কিন্তু প্রচণ্ড জাগতিক ভাবাপন্ন ব্যক্তি ও সেই ভাবে কোনও ধর্ম বা আধ্যাত্মিক ভাবনায় ভাবিত ছিল না।
(৩) কেতু মিথুনে বা তৃতীয়ভাবে: পূর্ব জন্মে এঁরা সকলেই ভাল যোগাযোগ রক্ষাকারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। নগর সভ্যতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্ত দিগভ্রষ্ট ছিলেন জীবনযাপনে, এঁরা সেই অর্থে সব বিষয়ে আছেন অথচ কোনও বিষয়ে গভীরতা নেই। এঁরা গত জন্মে কোনও অর্থেই সিরিয়াস ছিলেন না।
আরও পড়ুন: শনি ও রাহুর কুপ্রভাবে ভুগছেন? জীবনে সাফল্য আনতে এই কুঅভ্যাসগুলো ত্যাগ করুন
(৪) কেতু কর্কটে বা চতুর্থভাবে: এঁরা সকলেই খুব আবেগপ্রবণ, সেন্টিমেটাল ও স্নেহপ্রবণ মানসিকতার মানুষ ছিলেন। এঁরা যে পরিবার ও পরিবেশে জন্মছিলেন সেখানকার সকলের যত্ন ও দেকভালের দায়িত্বে ছিলেন, খুব আন্তরিক ভাবেই অন্যের দেখাশোনা করতেন। কিন্তু নিজেরাই ছিলেন ‘ইনসিকিয়োর’ ও স্বল্প আত্মবিশ্বাস যুক্ত।
(৫) কেতু সিংহে বা পঞ্চমভাবে: এখানে কেতুর জন্য গত জন্মে এঁরা ছিলে ইগো সর্বস্ব, আত্মবিশ্বাসী, বস মানসিকতার এবং খুব বেশি নিজেকে ভালবাসতেন। তবে এঁরা সকলেই ছিলেন কোনও না কোনও দিকে সৃজনশীল ও কৃতকার্য সম্পন্ন ব্যক্তি। কিন্তু চারপাশের মানুষজন সম্পর্কে কেমন যেন উদাসীন ও অনুভূতিশূন্য ছিল এঁদের হৃদয়।
(৬) কেতু কন্যায় বা ষষ্ঠভাবে: এঁরা সকলেই কাজ করতে ভালবাসতেন, কাজপাগল ছিলেন। কিন্তু অতি সতর্ক ও অতি যত্নশীল করে অন্যের সেবা করতে করতে বেশি পারফেকশন আনতে গিয়ে এঁরা কী ভাবে যে এঁদের স্বভাবকে জটিল ও যন্ত্রণাপূর্ণ চেতনায় রূপান্তরিত করে ফেলেছিলেন তা কেউ বলতে পারে না। আর এই জীবনে এটাই এঁদের চরিত্রের নেগেটিভ ভাব হিসেবে পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।