বর্তমানে মানুষের শারীরিক সমস্যা গুলির মধ্যে অন্যতম হল পেটের রোগ। আমরা প্রাত্যহিক এই গতিময় জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে নিয়মিত স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর খাদ্য আমরা গ্রহণ করে চলছি। আর তার ফলে পেটের সমস্যায় জেরবার হয়ে ছুটছি ডাক্তারের কাছে। অথচ আমরা যদি প্রাচীন শাস্ত্র মতে চলতে পারি তাহলে আমরা খুব সহজেই এই রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে পারি।
শাস্ত্রীয় মতে ভোজনের নির্দিষ্ট কিছু প্রথা আছে যেমন হাত, পা ও মুখ ধুয়ে পরিষ্কার জায়গায় বসে প্রসন্ন চিত্তে আহার গ্রহন করতে হয়।
সর্বদা পূর্ব ও পশ্চিম দিকে মুখ করে আহার করতে হয়। আর পুত্র বর্তমান থাকলে উত্তরমুখী ও পিতা বর্তমান থাকলে দক্ষিণমুখী ভোজন করা উচিত নয়।
এছাড়া বিভিন্ন তিথি অনুযায়ী বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য গ্রহণে নিষেধ আছে।
১) প্রতিপদ তিথিতে চালকুমড়ো খেতে নেই। অন্যথায় অর্থহানি হয়।
২) তৃতীয়াতে পটল খেলে শত্রু বৃদ্ধি হয়।
৩) চতুর্থীতে মূলো খেলে ধননাশ হয়।
৪) পঞ্চমীতে বেল খেলে কলঙ্ক হয়।
৫) ষষ্ঠীতে নিমপাতা খেলে সন্তান ভাগ্য খারাপ হয়।
৬) সপ্তমীতে তাল খেলে স্বাস্থ্যহানি ঘটে।
৭) অষ্টমীতে নারকেল খেলে মূর্খতা প্রাপ্তি হয়।
৮) দশমীতে কলমিশাক খেলে গোহত্যা সমতূল্য পাপ হয়।
৯) একাদশীতে শিম খেলে পাপ জন্মায়।
শাস্ত্রে মতে অতিরিক্ত ভোজন সর্বদা নিষিদ্ধ। যানবাহনে, শ্মশানে, দেবালয়ে, শুয়ে, দাঁড়িয়ে বা চলতে চলতে খাদ্য গ্রহন করা উচিত নয়। ভিজে কাপড়ে, ভিজে মাথায়, খুব সকালে ও সন্ধ্যায়, জুতো পড়ে, চর্ম আসনে বসে আহার করা উচিত নয়। খাওয়ার পাতে একটু উচ্ছিষ্ট রেখে পাত্র ত্যাগ করতে হয়, কিন্তু জল, ক্ষীর, দই, দুধ, মধু, ঘি, ছাতু ও শাক নিজেরটা নিজেকেই গ্রহন করতে হয়, উচ্ছিষ্ট রাখতে নেই। শাস্ত্রীয় কিছু বিধি মেনে চললে আমাদের বেশি ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না। শরীর সুস্থ, লাবণ্যময়, নীরোগ ও আকর্ষণীয় থাকবে।