ঋণের জাল থেকে বেরিয়ে আসতে কে না চায়। নানাবিধ কারণে মানুষ ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তার পর প্রত্যেকটা মুহূর্ত ঋণ থেকে মুক্তির পথ খোঁজে। সহজ কিছু উপায় দেওয়া হল যা থেকে খুব সহজেই ঋণ থেকে উদ্ধার পাওয়া যেতে পারে।
জন্মকুণ্ডলীতে ষষ্ঠ ঘর থেকে বিচার করা হয় যে, সেই জাতক ঋণের জালে জড়িয়ে পড়বে কি না। আবার মঙ্গল গ্রহ হল ঋণের কারক গ্রহ।
দেখে নিই জন্মকুণ্ডলীতে গ্রহের কোন অবস্থানে ঋণ হয়:
প্রথমত: জন্মকুণ্ডলীতে যখন ষষ্ঠ ঘরে মঙ্গল অবস্থান করে বা মঙ্গল দৃষ্টি দেয় তখন ঋণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
দ্বিতীয়ত: জন্মকুণ্ডলীতে লগ্নাধিপতি যদি ষষ্ঠ ঘরে অবস্থান করে, তা হলে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়তে হয়।
তৃতীয়ত: মঙ্গল যদি কখনও ষষ্ঠ ঘরের অধিপতিকে দৃষ্টি দেয় তখন ঋণে জর্জরিত হতে হয়।
চতুর্থ: জন্মকুণ্ডলীতে যদি মঙ্গল লগ্ন থেকে তৃতীয়, ষষ্ঠ, একাদশ ও দ্বাদশে অবস্থান করে, তা হলেও জীবনে কখনও না কখনও ঋণের জালে জড়িয়ে পড়তে হয়।
এ বার দেখে নিই জীবনের কোন নির্দিষ্ট সময়ে ঋণগ্রস্থ হতে হয়:
• জন্মকুণ্ডলীতে গোচরে যখন মঙ্গল ষষ্ঠ ঘরে প্রবেশ করবে অথবা ষষ্ঠ ঘরকে দৃষ্টি দেবে বা ষষ্ঠ ঘরের অধিপতির সঙ্গে এক সঙ্গে অবস্থান করবে তখন অল্প সময়ের জন্য হলেও ঋণে জড়িয়ে পড়তে পারেন।
• জন্মকুণ্ডলীতে যখন ষষ্ঠ পতির দশা বা অন্তর্দশা আসবে তখন প্রচুর পরিমাণে ঋণ হতে পারে।
কোন উপায়ের মাধ্যমে ঋণমুক্তি হতে পারে:
১) প্রতি মঙ্গলবার শ্রী গণেশের এই মন্ত্র পাঠ করে পুজো করতে হবে
আরও পড়ুন : বাড়ির এই সব জায়গায় ডাস্টবিন রাখবেন না, অর্থ কষ্ট হতে পারে
মন্ত্র – ওঁ গণেশ ঋণং ছিন্ধি ছিন্ধি
বরেন্যয়ং হূং নমঃ ফট
২) দেবী বগলামুখীর পুজো বা বগলামুখী কবচ পরলে ঋণ মুক্ত হওয়া যায়।
৩) মঙ্গলের এই মন্ত্র পাঠ করে ধ্যান করতে হবে
মন্ত্র – ওঁ হূং শ্রী মঙ্গলায় নমঃ
৪) হনুমান চালিশা নিজের নামে সংকল্প করে পর পর চল্লিশ দিন পাঠ করতে হবে। এক দিনও বন্ধ করা যাবে না।
(এই উপায়গুলির মাধ্যমে ঋণ থেকে সঙ্গে সঙ্গে মুক্তি মিলবে তা কিন্তু নয়। তবে ঋণ মুক্তির পথ খুঁজে পেতে সুবিধে হবে)