পুত্র হোক বা কন্যা, মা-বাবার কাছে সন্তান সব সময় একটা বিশেষ জায়গা জুড়ে থাকে। ছেলে বা মেয়ে, প্রত্যেকেই মা-বাবার দৃষ্টিতে সমান।
সাধারণ ভাবে দেখতে গেলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একটি পুত্রসন্তান বা একটি কন্যাসন্তান হয়ে থাকে। আবার কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় একই সঙ্গে দু’টি সন্তান অর্থাৎ যমজ সন্তান হয়।
সাধারণত মানুষের জীবনে প্রথম সন্তান বিচার করা হয় পঞ্চম ঘর থেকে। যদি কোনও দম্পতির প্রথম একটি সন্তান হওয়ার পর পরবর্তী সন্তান যমজ হয়, সে ক্ষেত্রে স্ত্রীর অধিপতি গ্রহের স্থান এবং সপ্তম ভাবকে দেখতে হবে। সেই গ্রহের উপর অন্যান্য গ্রহের দৃষ্টিকেও বিচার করে দেখতে হবে।
দেখে নেওয়া যাক গ্রহের কোন অবস্থানে যমজ সন্তান হয়:
১) যমজ সন্তান জন্মানোর ক্ষেত্রে বুধ গ্রহের কার্যকারিতা বা প্রভাব বেশি থাকে।
২) স্ত্রী জাতিকার ক্ষেত্রে চন্দ্র ও মঙ্গল এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে যদি রবি ও শুক্র নবাংশ ছকে একই স্থানে অবস্থান করে এবং বৃহস্পতি কেন্দ্রে বা কোণে অবস্থান করে, তখন যমজ সন্তান হয়।
৩) যখন বৃহস্পতি ও রবি গ্রহ নবাংশ ছকে একই সঙ্গে মিথুন রাশিতে অবস্থান করে এবং বুধ কোনও ভাবে সংযোগ স্থাপন করে, তখন যমজ সন্তান হয়ে থাকে।
৪) জন্মলগ্ন অনুসারে গোচরে তৃতীয়, ষষ্ঠ ও দশম বা একাদশ স্থানে চন্দ্র ও বুধ অবস্থান করলে সেই জাতিকার যমজ সন্তান হতে পারে।
আরও পড়ুন: একটি নারকেল কী ভাবে পারে আপনার ভাগ্য ফিরিয়ে দিতে
৫) যখন বুধ গোচরে মিথুন রাশিতে অবস্থান করে, তখন বুধ ধনু রাশিতে দৃষ্টি দেয়। তখন যদি পঞ্চম ভাব বা ভাবাধিপতির সঙ্গে সেই বুধের সংযোগ স্থাপন হয় তখন যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।