জাতক-জাতিকার জন্মসময়, জন্মতারিখ, জন্মস্থানের ওপর নির্ভর করে তার ভাগ্য বিচার করা হয়। এ ছাড়া জাতকের শারীরিক গঠন, হস্তরেখা বিচার ও শরীরের বিভিন্ন চিহ্ন দেখেও তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে কিছুটা বলা যায়। আমরা সকলেই ছোটবেলা থেকে নানা ঘাত প্রতিঘাতের সম্মুখিন হই। নানা রকম সমস্যা জীবনে এসেই যায়। যা কখনও ছোট আবার কখনও বড় আকার ধারণ করে।
আবার এমনও দেখা যায়, সমস্যার জেরে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে, মামলা মোকদ্দমা পর্যন্ত হয়ে যায়। এই আইনি ঝামেলার ফলে নাজেহাল হতে হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী বলে দেওয়া সম্ভব, কখন কোনও ব্যক্তি মামলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন আবার কখন মামলা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
দেখে নেওয়া যাক গ্রহের কোন অবস্থানে মানুষ মামলায় জড়িয়ে পড়েন—
• জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, দ্বাদশ ভাবের অন্যতম হল অষ্টম ভাব। এই অষ্টম ভাবের অবস্থানের ফলে মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়ে নাজেহাল হতে হয়। নীচস্থ চন্দ্রের দশায় মামলা মোকদ্দমা বা কারাবাসের আশঙ্কাও দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: জন্মছক অনুযায়ী আপনার প্রেমের সম্পর্ক কেমন? কী বলছে নাড়ী জ্যোতিষ
• কোনও ব্যক্তির অষ্টম ভাবে যদি অশুভ গ্রহ অবস্থান করে, তা হলেও মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
• সে রকমভাবেই অষ্ঠবর্গ ছকে যদি চন্দ্র অশুভ স্থানে থাকে, তবে মামলায় ভুগতে হয়। আবার রাহুর দশা বা মঙ্গলের অন্তর্দশায় মামলা মোকদ্দমার আশঙ্কা থাকে।
• একই ভাবে যদি ধনপতি এবং আয়পতি গ্রহ ষষ্ঠ, অষ্টম স্থানে থাকে, তা হলে মামলা-মোকদ্দমা সহ রাজদণ্ডও হতে পারে।
• রবি যদি নীচস্থ হয় বা অষ্টম এবং দ্বাদশ ভাবে থাকে, তা হলেও সমস্যা হয়।
• আবার অষ্ঠবর্গের দ্বাদশভাগে যদি রাহু থাকে, তা হলে জীবনে বহুবার এই সমস্যায় ভুগতে হবে।