অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় যে, পাত্র-পাত্রীর বিবাহের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে, অথচ বিবাহ হচ্ছে না। আবার বিবাহের অনেক চেষ্টা করা সত্ত্বেও বিবাহ কিছুতেই হচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে তো এমনও হয়, বিবাহ সম্পূর্ণ ঠিকঠাক হয়ে যাওয়ার পরও তা ভেঙে যায়। অনেকেরই প্রশ্ন কেন এমন হয়। পাত্র-পাত্রীর জন্মছকে গ্রহের অবস্থান লক্ষ্য করলেই এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। সাধারণত সপ্তম ঘর থেকে বিবাহ বিচার করা হয়। বিবাহ বিচারে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় এই সপ্তম ঘর।
দেখে নেওয়া যাক জন্মছকে গ্রহের কোন অবস্থানে বিবাহে বিলম্ব আসে:
১) রবি, রাহু এবং দুর্বল চন্দ্র সপ্তম ভাবে থাকলে।
২) শনি যদি সপ্তম ভাবে স্বগৃহে এবং যদি রবি থেকে সপ্তমস্থ থাকে, তা হলে বিবাহে বাধা অবশ্যই আসবে।
আরও পড়ুন:বিবাহিত জীবনে নক্ষত্রের অশুভ প্রভাব ও বিভিন্ন যোগ
৩) শনি সপ্তমে থাকলে অথবা সপ্তমে দৃষ্টি দিলে অথবা সপ্তমপতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে অথবা সপ্তমপতির ওপর দৃষ্টি থাকলে।
৪) রবি যদি সপ্তম ভাবে থাকে, আর যদি তার ওপর শনির দৃষ্টি থাকে অর্থাৎ শনি যদি লগ্নে পঞ্চম ভাবে অথবা দশম ভাবে থাকে, তা হলে বিবাহে বাধা আসতে পারে।
৫) লগ্নে বৃহস্পতি, শুক্র এবং বুধ বক্রী থাকলে বিবাহে বাধা আসার আশঙ্কা থাকে।
৬) বুধ এবং কেতু লগ্নে থাকলে বিবাহে বাধা আসে।
৭) সপ্তমপতি জন্মলগ্ন অথবা সপ্তম ভাবে ত্রিকোণ ভাবে (ষষ্ঠ, অষ্টম, দ্বাদশ ভাব) অর্থাৎ জন্মলগ্ন থেকে দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও অষ্টম অথবা দ্বাদশ ভাবে থাকলে বিবাহে বিলম্ব আসতে পারে।
৮) সপ্তমে শনি এবং কেতু থাকলে।
৯) সপ্তমে পাপ গ্রহ থাকলে অথবা সপ্তম পাপদৃষ্ট হলে।
১০) রবি এবং শনি সম্বন্ধ লগ্নে থাকলে বিবাহে বাধা আসে।
১১) চন্দ্র সপ্তম ভাবে এবং শনি লগ্নে থাকলে অথবা সপ্তম ভাবে শনি এবং চন্দ্রের যোগ বিলম্বিত বিবাহের কারক।
১২) অষ্টমপতি সপ্তমে থাকলে অথবা সপ্তমপতি যদি অষ্টমে থাকে, তা হলে প্রায়ই বিবাহে বিলম্ব হতে দেখা যায়।
১৩) ষষ্ঠ ভাবে যদি শনি থাকে এবং অষ্টম ভাবে যদি রবি এবং অষ্টমপতি যদি দুর্বল থাকে, তা হলে বিবাহে বিলম্ব হয়।