স্বাভাবিক প্রসবের ঘটনাকে এখন খানিকটা যেন পিছনেই ফেল দিয়েছে সিজারিয়েনের ঘটনা। এর পিছনে মেডিক্যাল কারণ যা-ই হোক না কেন, আমরা জ্যোতিষের চোখ দিয়ে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করব। সমস্ত ক্লাসিক্যাল জ্যোতিষে সপ্তম ভাবকে ইউটেরাস, ওভারি এবং অষ্টম ভাবকে যৌনাঙ্গ বলা হয়েছে। চন্দ্র ও শুক্রকে ইউটারিন ফাংশানের কারণ বলা হয়েছে। আর পঞ্চম ভাব ও ভাবপতিকে বলা হয় গর্ভস্থান। তুলা ও বৃশ্চিক রাশিকে অস্ত্রোপচার কারণ বলা হয়েছে। আর এই সারজিক্যাল বা সিজারিয়ান সেকশানের মূল কারণ যে গ্রহটির জন্যে হয় তার নাম মঙ্গল। সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্মানোর জন্য যাকে সব থেকে বেশি দোষী করা হয়েছে, তা একমাত্র মঙ্গল। এ ছাড়া শনি ও মঙ্গলকে যুগ্ম ভাবে পেলভিস জোনের সংকোচন ও প্রসারণ কারণ বলা হয়।
চিকিত্সকেরা সিজারের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন এবং মোটামুটি গর্ভাবস্থার একেবারে শেষ অবস্থায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই হঠাৎ কারণের পেছনে যে গ্রহটি থাকে তার নাম ইউরেনাস। হয় এ ক্ষেত্রে মঙ্গল ও ইউরেনাস যুগ্ম ভাবে থাকে নতুবা উভয় উভয়কে অশুভ পেক্ষায় দেখে থাকে।
দীর্ঘ দিন পর্যবেক্ষণ করে জ্যোতিষেরা সিজারিয়ান সেকশানের কারণ হিসেবে যা বলেছেন, তাকে যদি সূত্রাকারে লিপিবদ্ধ করা যায় তা এই রকম-
(১) যে সব মায়েদের সিজার হয়, তাদের জন্মছকে পঞ্চম ভাব ও পঞ্চম পতি যে কোনও ভাবে মঙ্গল দ্বারা প্রভাবিত বা মঙ্গল সংযুক্ত।
(২) কোনও মায়ের জন্মছকে স্বাভাবিক প্রসব কারক গ্রহ শুক্র ও চন্দ্র কোনও অশুভ গ্রহদ্বারা বিশেষ ভাবে প্রভাবিত হলে বা নিজেরাই নিস্তেজ বা দুর্বল হলে।
(৩) বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মঙ্গল হয় ইউরেনাসকে অশুভ দৃষ্টিতে দেখছে, বা ফাংশানাল মেলিফিক গ্রহ যেমন শনি, রবি বা রাহুকে দৃষ্টি দিচ্ছে অথবা বাধক পতিকে দৃষ্টি দিচ্ছে।
(৪) কোনও মায়ের লগ্ন পতি, দ্বিতীয় পতি, সপ্তম পতি বা সপ্তম ভাব ও অষ্টম পতি বা অষ্টম ভাব যদি অন্য কোনও ভাবে কুপিত হয় কোনও অশুভ গ্রহ দ্বারা।
(৫) কোনও মায়ের মঙ্গল যদি জন্মছকে দ্বিতীয়, পঞ্চম ও একাদশে অবস্থান করে।
(৬) পঞ্চম পতি যদি দুর্বল থাকে বা বিরুদ্ধ গ্রহ দ্বারা কুপিত হয়।
(৬ ) প্রসবকালীন সময়ের দশা ও অন্তর্দশা ভুক্তি যদি খারাপ থাকে।
(৭ ) প্রসবকালীন সময়ে মঙ্গল যদি এই দশা ও অন্তর্দশা পতিকে প্রভাবিত করে।
(৮) এ ছাড়া, ষষ্ঠ পতি ও ষষ্ঠ ভাব খুব যদি খারাপ অবস্থায় থাকে।