জানি বা না জানি, রবির অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যেকের একটা নির্দিষ্ট রাশি আছে। রাশি যখন আছে তখন তার জন্য নির্দিষ্ট রোগভোগও আছে। যেমন জন্মকালীন রবি অনুয়ায়ী আপনার মেষে জন্ম হলে মাথা এবং স্নায়ুকে ধরে যে সকল রোগ হয়, যেমন মাথা ধরা বা মাইগ্রেন, তা থেকে মেষের জাতক/জাতিকাকে আজীবন কমবেশি ভুগতেই হবে। এই রোগে মকরের জাতক/জাতিকাকে কোনও দিনই সে ভাবে ভুগতে হবে না। মকরের জাতক/জাতিকাকে হাড় বা জয়েন্ট সংক্রান্ত রোগ বা ঠান্ডা লাগা রোগে যে ভাবে ভুগতে হবে সেটা কোনও দিনই মেষের জাতক/জাতিকাকে ভুগতে হবে না।
আপনার জন্মের দিনই নির্দিষ্ট হয়ে গিয়েছে, কোনও বিশেষ কিছু রোগ আপনার জন্য নিদির্ষ্ট করে দেওয়া আছে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোন রোগ আপনার জীবনীশক্তিকে ক্ষয় করবে তা আগে থেকে নির্দিষ্ট করা আছে। রাশি অনুযায়ী সেই রোগগুলি সম্বন্ধে নীচে আলোচনা করা হল।
মেষ (২১ মার্চ থেকে ১৯ এপ্রিল): এই সময়ে জন্ম হলে আপনি সহজেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন। লোকে আপনাকে মাথাগরম প্রকৃতির লোক বলেই চেনে। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে আপনি মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, মাথা ঘোরা জাতীয় রোগে প্রায়ই আক্রান্ত হতে থাকবেন। যে ভাবেই হোক না কেন, এই রাশির অনেক জাতক/জাতিকার মৃত্যুর কারণ কিন্তু শুধুমাত্র ‘মাথা’। হতে পারে সেটা ব্রেন স্ট্রোক ধরনের কিছু।
আরও পড়ুন: একাদশীতে কী কী করা এবং খাওয়া উচিত নয়
বৃষ (২০ এপ্রিল থেকে ২০ মে): এই সময়ে আপনার জন্ম হলে যে সব রোগ আপনাকে আক্রান্ত করতে পারে সেগুলি নাক, কান, গলা, থাইরয়েড, ঘাড়ের কোনও রোগ, লকড জ, ফ্রিকোয়েন্ট সোর থ্রট ইত্যাদি। এইগুলির মধ্যে যে কোনও একটি বা একাধিক রোগ আপনার জীবনীশক্তিকে দুর্বল করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দেবে।
মিথুন (২১ মে থেকে ২০ জুন): এই সময়ে জন্মানোর জন্যে প্রধানত যে রোগগুলি প্রকৃতি আপনার জন্য নিদির্ষ্ট করে রেখেছে তা হল ব্রঙ্কাইটিস, শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা, প্যানিক অ্যাটাক, ধূমজনিত শ্বাসকষ্ট, আর তার সঙ্গে যখন-তখন ঠান্ডা লাগা এবং সেই সঙ্গে ভাইরাসজনিত ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি।
কর্কট (২১ জুন থেকে ২২ জুলাই): এই সময়ে যাঁরা জন্মেছেন তাঁদের মনের মতিগতি চন্দ্রের কারণে নিত্যপরিবর্তনশীল। ফলে আপনাদের ইমোশনাল ডিসব্যালান্সের কারণে আপনাদেরকে পরিপাকের সমস্যায় আজীবন কমবেশি ভুগতে হয়। অন্য দিকে, অবসাদজনিত ও ক্রোধজনিত সাইক্রিয়াটিক রোগ আপনারা জন্ম থেকে ভাড়া করে এনেছেন এটা বলা চলে। আর আছে ওজন বেড়ে ওবিসিটিতে ভোগা।
সিংহ (২৩ জুলাই থেকে ২২ অগস্ট): সিংহ গভীর ভাবাবেগের চিহ্ন, হৃদয়ের ভাব প্রকাশের জায়গা, তাই আপনারা হার্ট নিয়ে যে ভাবে ভোগেন অন্য রাশির লোকেরা তার সামান্যই ভুগে থাকেন। নানা কারণে আপনাদের হৃদপিণ্ডে ব্যথা হয়, তাই বিশেষ কিছু কষ্টভোগ আপনাদের জন্য নির্দিষ্ট করা আছে। এ ছাড়া ব্যাকপেনেও ভুগতে হয়।
কন্যা (২৩ অগস্ট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর): কেন এই চিহ্নকে ‘হাসপাতাল চিহ্ন’ প্রাশ্চাত্যের জ্যোতিষীরা বলে থাকেন বলা কঠিন। তবে যাঁরা এই সময়ে জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁরা আজীবন পেট নিয়ে কোনও না কোনও রোগে ভুগতেই থাকেন, বলা যেতে পারে এ হল বিধাতার নির্দিষ্ট করা নিয়ম। এখন আলসারের ওষুধ বেরিয়েছে তাই আলসার নিয়ে এই রাশির লোকেদের আর সে ভাবে ভুগতে হয় না।