আগামিকাল বিপত্তারিণী, জেনে নিন ব্রত পালন পন্থা

সুখ,শান্তি,ধর্ম, ঐশ্বর্য সব কিছু বজায় থাকে বিপত্তারিণী ব্রত পালনে

যে নারী ভক্তিভরে এই ব্রত পালন করেন, ভবসুন্দরী তার সব বিপদ দূর করেন। সে নারীকে কখনও বৈধব্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় না। মামলা, মোকদ্দমা, বিরহ যন্ত্রণা ইত্যাদি সকল বিপদ থেকে মা উদ্ধার করেন।

Advertisement

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৮ ১২:৫৮
Share:

এক ধর্মসভায় ত্রিকালজয়ী, সর্বশাস্ত্র বিশারদ, চিরজীবী মার্কণ্ডেয় মুনি বলেছিলেন, খুবই স্বল্প খরচে দীর্ঘায়ু এবং বৈভবলাভ ও সর্ব বিপদ থেকে মুক্তি পেতে বিপত্তারিণী ব্রত করা উচিত। বারো মাসে যত ব্রত আছে তার মধ্যে এই ব্রত সর্বশ্রেষ্ঠ। জীবনে সুখ, শান্তি, ধর্ম, ঐশ্বর্য সব কিছু বজায় থাকে এই ব্রতের ফলে। শ্রী শ্রী নারদমুনি দেবাদিদেব মহাদেবকে জিজ্ঞাসা করায় উত্তর পেয়েছিলেন, আমাদের বিভিন্ন রূপের পুজো করা দেব-দেবীর মধ্যে এই ‘দুর্গে দুর্গতি নাশিনী অভয়বিনাশিনী বিপদতারিণী মা দুর্গে’, এই মা দুর্গারই একটা রূপ বিপত্তারিণী’। যে নারী ভক্তিভরে এই ব্রত পালন করেন, ভবসুন্দরী তার সব বিপদ দূর করেন। সে নারীকে কখনও বৈধব্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় না। মামলা, মোকদ্দমা, বিরহ যন্ত্রণা ইত্যাদি সকল বিপদ থেকে মা উদ্ধার করেন।

Advertisement

প্রতি বছরের আষাঢ় মাসের শুক্লা তৃতীয়া থেকে নবমী তিথির মধ্যে যে কোনও শনিবার বা মঙ্গলবার এই ব্রত পালন করা হয়। (শ্রী শ্রী বিপদত্তারণীব্রতম্- ৩২ আষাঢ়, ১৪২৫, ইং- ১৭ জুলাই,২০১৮, মঙ্গলবার) এই ব্রত শুরু করলে তিন বছর, পাঁচ বছর, ন’বছর পালন করা উচিত। ব্রতের আগের দিন নিরামিষ আহার বা একবার হবিষ্যান্ন গ্রহণ করা উচিত। এই ব্রতর প্রভাবে পূজারি ব্রাহ্মণকে দিয়ে ঘট স্থাপন করে হলুদ সুতো দিয়ে দুর্বা-সহ ঘটের মুখে বাঁধতে হয়। তারপর স্বস্তিবাচন করে নামগোত্র ধরে সংকল্প সৃক্ত উচ্চারণ করতে হবে। অঙ্গশুদ্ধি, করশুদ্ধি করে পঞ্চদেবতার পাদ্যার্ঘ দিয়ে পুজো করতে হবে বিপত্তারিণী রূপী দুর্গার।

একটি সশীষ ডাব, একটি নৈবেদ্য, তেরো রকম ফুল, তেরোটি ফল, তেরো গাছি লাল কস্তাসুতো, তেরোটি দুর্বা, তেরোটি গোটা পান, তেরোটি সুপারি, তেরোটি পৈতা, তেরোটি লবঙ্গ, তেরোটি ছোট এলাচ, তেরোটি বড় এলাচ এবং পুজোর শেষে পুরোহিতকে যথাসাধ্য দান-ধ্যান ও দক্ষিণা দিতে হয় এবং পুজোর শেষে মন দিয়ে ব্রত কথা শুনতে হবে।

Advertisement

মাসি পূণ্যতমে

বিপ্রমাধবে মাধবপ্রিয়ে।

ন বম্যাং শুক্লপক্ষে চ

বাসরে মঙ্গল শুভে।।

সর্পঋক্ষে চ মধ্যাহ্নে

জানকী জনকালয়ে।

আবির্ভূতা স্বয়ং দেবী

যোগেষু শোভনেষুচ।।

নমঃ সর্ব মঙ্গল্যে

শিবে সর্ব্বাথ্যসাধিকে

শরণ্যে ত্রম্বক্যে গৌরী

নারায়ণী নমস্তুতে।।

এই মন্ত্রবলে যদি কোনও মহিলা ব্রত করে গঙ্গার তীরে গিয়ে ওই সমস্ত জিনিস তেরোটি করে নিয়ে কোনও ব্রাক্ষণকে দান করে তার আশীর্বাদ নিতে পারেন, তবে যে কোনও কঠিন সমস্যা, যে কোনও মহা বিপদ থেকে উদ্ধার পাবেন।

এক ধর্মসভায় ত্রিকালজয়ী, সর্বশাস্ত্র বিশারদ, চিরজীবী মার্কণ্ডেয় মুনি বলেছিলেন, খুবই স্বল্প খরচে দীর্ঘায়ু এবং বৈভবলাভ ও সর্ব বিপদ থেকে মুক্তি পেতে বিপত্তারিণী ব্রত করা উচিত। বারো মাসে যত ব্রত আছে তার মধ্যে এই ব্রত সর্বশ্রেষ্ঠ। জীবনে সুখ, শান্তি, ধর্ম, ঐশ্বর্য সব কিছু বজায় থাকে এই ব্রতের ফলে। শ্রী শ্রী নারদমুনি দেবাদিদেব মহাদেবকে জিজ্ঞাসা করায় উত্তর পেয়েছিলেন, আমাদের বিভিন্ন রূপের পুজো করা দেব-দেবীর মধ্যে এই ‘দুর্গে দুর্গতি নাশিনী অভয়বিনাশিনী বিপদতারিণী মা দুর্গে’, এই মা দুর্গারই একটা রূপ বিপত্তারিণী’। যে নারী ভক্তিভরে এই ব্রত পালন করেন, ভবসুন্দরী তার সব বিপদ দূর করেন। সে নারীকে কখনও বৈধব্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় না। মামলা, মোকদ্দমা, বিরহ যন্ত্রণা ইত্যাদি সকল বিপদ থেকে মা উদ্ধার করেন।

প্রতি বছরের আষাঢ় মাসের শুক্লা তৃতীয়া থেকে নবমী তিথির মধ্যে যে কোনও শনিবার বা মঙ্গলবার এই ব্রত পালন করা হয়। (শ্রী শ্রী বিপদত্তারণীব্রতম্- ৩২ আষাঢ়, ১৪২৫, ইং- ১৭ জুলাই,২০১৮, মঙ্গলবার) এই ব্রত শুরু করলে তিন বছর, পাঁচ বছর, ন’বছর পালন করা উচিত। ব্রতের আগের দিন নিরামিষ আহার বা একবার হবিষ্যান্ন গ্রহণ করা উচিত। এই ব্রতর প্রভাবে পূজারি ব্রাহ্মণকে দিয়ে ঘট স্থাপন করে হলুদ সুতো দিয়ে দুর্বা-সহ ঘটের মুখে বাঁধতে হয়। তারপর স্বস্তিবাচন করে নামগোত্র ধরে সংকল্প সৃক্ত উচ্চারণ করতে হবে। অঙ্গশুদ্ধি, করশুদ্ধি করে পঞ্চদেবতার পাদ্যার্ঘ দিয়ে পুজো করতে হবে বিপত্তারিণী রূপী দুর্গার।

একটি সশীষ ডাব, একটি নৈবেদ্য, তেরো রকম ফুল, তেরোটি ফল, তেরো গাছি লাল কস্তাসুতো, তেরোটি দুর্বা, তেরোটি গোটা পান, তেরোটি সুপারি, তেরোটি পৈতা, তেরোটি লবঙ্গ, তেরোটি ছোট এলাচ, তেরোটি বড় এলাচ এবং পুজোর শেষে পুরোহিতকে যথাসাধ্য দান-ধ্যান ও দক্ষিণা দিতে হয় এবং পুজোর শেষে মন দিয়ে ব্রত কথা শুনতে হবে।

মাসি পূণ্যতমে

বিপ্রমাধবে মাধবপ্রিয়ে।

ন বম্যাং শুক্লপক্ষে চ

বাসরে মঙ্গল শুভে।।

সর্পঋক্ষে চ মধ্যাহ্নে

জানকী জনকালয়ে।

আবির্ভূতা স্বয়ং দেবী

যোগেষু শোভনেষুচ।।

নমঃ সর্ব মঙ্গল্যে

শিবে সর্ব্বাথ্যসাধিকে

শরণ্যে ত্রম্বক্যে গৌরী

নারায়ণী নমস্তুতে।।

এই মন্ত্রবলে যদি কোনও মহিলা ব্রত করে গঙ্গার তীরে গিয়ে ওই সমস্ত জিনিস তেরোটি করে নিয়ে কোনও ব্রাক্ষণকে দান করে তার আশীর্বাদ নিতে পারেন, তবে যে কোনও কঠিন সমস্যা, যে কোনও মহা বিপদ থেকে উদ্ধার পাবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement