বাস্তুশাস্ত্র মতে রান্নাঘরের গুরুত্ব অসীম।
খাদ্য আমাদের অন্যতম প্রাথমিক চাহিদা। খাদ্য বাঁচার জন্য অপরিহার্য। শারীরিক এবং মানসিক কর্মক্ষমতার জন্য আমরা খাদ্যের উপর নির্ভরশীল। খাদ্য গ্রহণ করার পর তা বিভিন্ন বিপাক এবং পরিপাক ক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরে কর্মশক্তি উৎপন্ন করে বা শারীরিক পুষ্টি দান করে। পুষ্টিসাধনের ক্ষেত্রে খাদ্যগ্রহণ এবং কর্মশক্তি উৎপাদনের মধ্যেকার প্রক্রিয়ার যেমন গুরুত্ব আছে ঠিক তেমনই গুরুত্ব আছে খাদ্য (রান্না করা) কোথায় তৈরি হচ্ছে তার উপর। অর্থাৎ রান্নাঘর কেমন তাঁর উপর।
বাস্তুশাস্ত্র মতে রান্নাঘরের গুরুত্ব অসীম। বাড়ির সদস্য এবং অতিথি, পুষ্টি, স্বাদ ইত্যাদি এবং বাড়ির যে সদস্য রান্নাঘরে দিনের অধিকাংশ সময় কাটান তাঁদের কাছে রান্নাঘরের গুরুত্ব অসীম। একটি কথা প্রচলিত আছে যে, আমাদের চিন্তাভাবনা মানুষের খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভরশীল।
বাস্তুমতে রান্নাঘর কেমন এবং কোথায় হওয়া সবচেয়ে ভাল, দেখে নেওয়া যাক—
রান্নাঘরের যুক্তিসঙ্গত অবস্থানের ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক নিয়ম, উপাদান এবং গ্রহের বিশ্লেষণ বা আলোচনার প্রয়োজন এবং বাড়ির বাস্তু উপাদানের সমতা রক্ষা করা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ।
রান্নার কাজে খাদ্য উৎপাদন ছাড়াও যে জিনিষের বিশেষ প্রয়োজন তা হল জল এবং আগুন। এ ক্ষেত্রে বাড়ির এমন একটি স্থান নির্বাচন প্রয়োজন যেখানে উভয় উপাদান (আগুন, জল) ব্যবহারে কোনও সমস্যার সৃষ্টি না হয়। এ ক্ষেত্রে অগ্নিকোণ (দক্ষিণ-পূর্ব) আদর্শ স্থান।
খাদ্যের স্বাদের প্রতিনিধিত্ব করে শুক্র। এ ক্ষেত্রে শুক্রের অধিপতিত্ব গৃহের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে। বাস্তুশাস্ত্র মতে অগ্নিকোণে (দক্ষিণ-পূর্ব) রান্নাঘরে রান্না খাদ্য স্বাদ এবং প্রাণশক্তি পূর্ণ। অগ্নিকোণ (দক্ষিণ-পূর্ব) শুক্র এবং চন্দ্রের অক্ষে অবস্থানের কারণে মহিলাদের (রান্নার সঙ্গে সম্পর্কিত) শারীরিক ক্ষেত্রেও শুভ। বাস্তু শাস্ত্র মতে অগ্নিকোণে ( দক্ষিণ-পূর্ব ) রান্নাঘর শ্রেষ্ঠ।