প্রতীকী চিত্র
গ্রহ শান্তির জন্য বা গ্রহের কুপ্রভাব থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রতিকার ব্যবহার করি। যেমন দামি রত্ন, বিভিন্ন ধাতু ধারণ ইত্যাদি। দান, হোমযজ্ঞ, পূজাপাঠ ইত্যাদিও প্রতিকার হিসাবে করা হয়। দামি রত্ন বা ধাতু ধারণের বিকল্প হিসাবে রুদ্রাক্ষ ধারণ করেও গ্রহের কুপ্রভাব থেকে নিষ্কৃতি প্রাপ্তি সম্ভব।
কোন রুদ্রাক্ষ কোন গ্রহের জন্য ব্যবহারে সুফল পাওয়া যাবে–
রবি– আত্মার কারক গ্রহ রবি। সরকারি দফতর, বাবা, হৃৎপিণ্ড ইত্যাদির উপর প্রভাব রবির। একমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে রবির শুভ ফল প্রাপ্তি হয়।
চন্দ্র– মনের কারক চন্দ্র। মা, জল সংক্রান্ত বিষয়ের উপর প্রভাব চন্দ্রের। দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণে চন্দ্রের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি মেলে।
মঙ্গল– বীরত্ব, রক্ত, দুর্ঘটনা, আগ্নেয়াস্ত্র, সাহসিকতার উপর মঙ্গলের প্রভাব ব্যাপক। ত্রিমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণে মঙ্গল গ্রহের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি মেলে।
বুধ– বুদ্ধির কারক বুধ। ব্যবসা বাণিজ্য, হিসাবশাস্ত্র, যোগাযোগ, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদির উপর বুধের প্রভাব। চারমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণে বুধের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি মেলে।
বৃহস্পতি– জ্ঞান, প্রজ্ঞা, শিক্ষা, ধর্ম ইত্যাদির উপর প্রভাব দেবগুরু বৃহস্পতির। পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণে বৃহস্পতির অশুভ প্রভাব থেকে নিষ্কৃতি মেলে।
শুক্র– বিলাসিতা, শিল্পকলা, প্রেম ইত্যাদির উপর প্রভাব দৈত্যগুরু শুক্রের। ছ’মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণে শুক্র গ্রহের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি মেলে।
শনি– কর্মের কারক শনি। একাকিত্ব, লোহা, খনিজ, তেল ইত্যাদির উপর প্রভাব শনি গ্রহের। সাতমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণে শনি গ্রহের কুপ্রভাব থেকে মুক্তি মেলে।
রাহু– হঠকারিতা, বিভ্রান্তি ইত্যাদির উপর প্রভাব রাহুর। আটমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণে রাহুর শুভ ফল পাওয়া যায়।
কেতু– মোক্ষ, ধর্ম, শিক্ষা ইত্যাদির উপর প্রভাব কেতুর। ন’মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণে কেতুর শুভ ফল পাওয়া যায়।
রুদ্রাক্ষ ধারণের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন। আসল রুদ্রাক্ষ ধারণেই কেবলমাত্র শুভ ফল প্রাপ্তি হয়। রুদ্রাক্ষ ধারণের আগে সেটি যে আসল সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। আসল রুদ্রাক্ষকে শিবের মতো সম্মান করলে, শুদ্ধ ভাবে ধারণ করলে তবেই শুভ ফল প্রাপ্তি হবে। রুদ্রাক্ষ ধারণকালে খাদ্যাভ্যাসের উপর সংযম প্রয়োজন।