আপনার জন্মের সময়ে দেওয়া নামের প্রথম অক্ষরকে কর্নারস্টোন বলে। যেমন Manideepa Kar, এই নামের প্রথম ইংরেজি অক্ষর M হল কর্নারস্টোন অক্ষর। তাই M-কে নিউম্যারোলজিতে কর্নারস্টোন লেটার (Cornerstone letter)বলে।
নামের কর্নারস্টোন অক্ষর দিয়ে জানা যায়, এক জন জাতক/জাতিকার জীবনে যে সব সমস্যা বা সুযোগ আসে সেগুলিকে সে কী ভাবে নিচ্ছে বা সেগুলির প্রতি সে কী ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। এর সাহায্যে জীবনে যত রকম সুযোগ বা বাধা আসে তাকে কী ভাবে সে যুঝবে, এই যোঝার ভঙ্গিই কর্নার স্টোন আমাদের সামনে তুলে ধরে। এই অক্ষর আমাদেরকে জানিয়ে থাকে জাতক/জাতিকার মূল চরিত্র, বিশেষ করে তার জীবন সংগ্রাম করার কায়দাটা কী ভাবে রপ্ত করেছে, তা বুঝতে সাহায্য করে।
দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যায়, কারও নামের প্রথম অক্ষর বা কর্নারস্টোন লেটার যদি ইংরেজি ‘S’ অক্ষর হয় সে হবে খুব অ্যাগ্রেসিভ প্রকৃতির, সে ‘ষাঁড়’কে ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে, সব শেষে ষাঁড়ের শিংকে চেপে ধরবে। আর যার নামের কর্নারস্টোন অক্ষর ইংরেজি ‘B’ অক্ষর, সে কিন্তু ষাঁড়কে ধরার কোনও চেষ্টাই করবে না।
আরও পড়ুন: আপনার লগ্নই বলে দেবে আপনার জীবনসঙ্গী কেমন হবে
এ বার আমরা জানব, ক্যাপস্টোন অক্ষর কী?
আপনার জন্মকালীন দেওয়া নামের প্রথম নামের শেষ অক্ষর হল ক্যাপস্টোন অক্ষর। ধরা যাক, কারও নাম Joydev Bairagee, এ বার এই নামের প্রথম নাম Joydev, আর এই নামের শেষ ইংরেজি অক্ষর ‘V’। আর এই ‘V’ হল ক্যাপস্টোন অক্ষর।
ক্যাপস্টোন লেটার থেকে আমরা জানতে পারি, জাতক/জাতিকা কী ভাবে কোনও একটি প্রজেক্ট বা প্রকল্প, যা সে আরম্ভ করেছিল, এখন সেই প্রজেক্ট কী ভাবে শেষ করতে চলেছে। এই শেষ করার পদ্ধতি এক এক জনের এক এক রকম। আমাদের জীবনের সব কাজের যেমন একটা আরম্ভের বা উদ্বোধনের দিক আচ্ছে, তেমনই তার শেষ বা সমাপ্তি ঘোষণার একটি পদ্ধতি আছে।
এই কর্নারস্টোন আর ক্যাপস্টোন অক্ষরের সাহায্যে আমরা কোনও জাতক/জাতিকার ভিতরের সামর্থ্য বা শক্তি কী আছে তা যেমন বুঝতে পারি, তেমনই সে কোনও কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা কী সেটাও জানতে পারি।
এ বার আমরা জানার চেষ্টা করব, বিভিন্ন অক্ষর যখন নামের কর্নারস্টোন ও ক্যাপস্টোন হিসেবে ব্যবহার হয় তখন কী সঙ্কেত বহন করে:
‘A’ যখন কর্নারস্টোন: আপনি হবেন খুবই উচ্চাকাঙ্খী, স্বাধীনচেতা, প্রভাবহীন, সহজাত ভাবেই আপনি এক জন নেতা বা আপনার নেতৃত্বদানের ক্ষমতা আছে। কোনও পরিবর্তন এলে আপনি খুব ভাল ভাবেই জানেন, সেটাকে কী ভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
‘A’ যখন ক্যাপস্টোন: আপনি ভাল ভাবেই জানেন, যাদের কথা বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেগুলিকে কী ভাবে রক্ষা করবেন। প্রয়োজন হলে কোনও কর্তব্য সম্পাদনে কী ভাবে লেগে থাকতে হয় তা আপনার ভাল ভাবেই জানা রয়েছে।
‘B’ যখন কর্নারস্টোন: আপনি ভাবপ্রবণ অথচ সে ভাবে সাড়া দিতে পারেন না। আপনি কিছুটা মিয়ম্রান হয়ে পড়েন লজ্জিত স্বভাবের প্রকৃতি বলে। আপনি সব সময় চেয়ে থাকেন নেতৃত্বদানটা যেন অন্যের উপর বর্তায়। আপনি জানেন, নেতৃত্ব দেওয়াটা আপনার কাজ নয়, কারণ কোনও ভুলচুক হয়ে গেলে সেটাকে তো আপনাকেই বহন করতে হবে।
‘B’ যখন ক্যাপস্টোন: B যদি আপনার প্রথম নামের শেষ অক্ষর হয় তা হলে জেনে যান আপনার করা পরিকল্পনাগুলি সে ভাবে সম্পাদন করা হয় না বা সেগুলি নিয়ম মেনে করা হয় না। কারণ আপনি সে ভাবে পরিকল্পনারগুলির পেছনে লেগে থাকেন না। কোনও কাজকে শেষ অবধি সুন্দর ভাবে টেনে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আপনার আগ্রহ কম থাকে। আপনি ভীষণ দ্বন্দ্বে ভোগেন।
(ক্রমশ)