বুধের ক্ষেত্র অপ্রশস্ত কাটাকাটি যুক্ত, তিলচিহ্ন যুক্ত প্রভৃতি হলে জাতকের মনে নানা কুপথে যাওয়ার প্রবণতা আসে। অন্যায় পথে চিন্তার দ্বারা উন্নতি করতে পারে বা এই ধরনের প্রবণতা আসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে কষ্টের মাঝে পড়তে হয়। সাধারণের সঙ্গে অতি সাধারণ হয়ে তার দিন কাটে। উচ্চ চিন্তা-ভাবনা করার মতো মনের অবস্থা তার হয় না। জাতক বিনা কারণে অহঙ্কারী ও ঝগড়াটে প্রকৃতিরও হতে পারে। বুধের ক্ষেত্র তিল থাকলে জীবনে নারীর দ্বারা প্রতারিত হওয়ার যোগ থাকে।
এখন দেখে নেওয়া যাক কী ভাবে বুধের প্রতিকার করা যেতে পারে-
১। দুর্গার উপাসনা করতে হবে। দুর্গা সপ্তদশী পাঠ করতে হবে।
২। বুধবারের ব্রত রাখতে হবে। ঘরে সাদা গরু পুষতে হবে।
৩। হিজরেকে সবুজ কাপড় ও সবুজ চুরি দান করতে হবে।
৪। দাঁত পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নাক ছ্যাঁদা করতে হবে।
৫। খোসা-সহ সবুজ মুগ দান করতে হবে।
৬। কন্যা, বোন, পিসি, মাসি ও শালির আশীর্বাদ নিতে হবে।
৭। পান্না সোনার আংটিতে লাগিয়ে কনিষ্ঠ আঙুলে পরতে হবে।
আরও পড়ুন: নখের চন্দ্রমার আকার ও তার ফলাফল
মন্ত্র – ওঁ ঐং শ্রীং শ্রীং বুধায়ঃ। জপ সংখ্যা ১০ হাজার বার।
গায়ত্রী- ওঁ সৌম্যরূপায় বিদ্মহে বাণেশায় ধীমহিঃ তন্নঃ বুধঃ প্রচোদয়াৎ।
প্রণাম- ওঁ প্রিঙ্গুকলিকাশ্যামং রূপেণাপ্রতিমং বুধম। সৌম্যং সর্বগুণোপেতং তং বুধং প্রণাম্যহম্।।
ইষ্টদেবতা- ষোড়শী অথবা ত্রিপুরভৈরবী।
ধারণরত্ন- পান্না।
ধূপ- সঘৃত দেবদারু।
বার- বুধবার।
প্রশস্ত সময়- বেলা ৭-১১ পর্যন্ত।