হিন্দুশাস্ত্র মতে ধন-সম্পদের দেবী মা লক্ষ্মী। ধন সম্পত্তি বাড়াতে আমরা লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করে থাকি। আমরা সকলেই চাই সুখে, শান্তিতে জীবন যাপন করতে, যা অর্থ ছাড়া কখনওই সম্ভব নয়।
মানুষ অর্থ উপার্জন করার জন্য কী না করে। আর সেই অর্থ যদি জলের মতো খরচ হয়ে যায়, তা হলে সকলেরই সমস্যা হয়। অর্থাভাব মেটাতে বা অর্থ নিজের কাছে ধরে রাখতে সহজ কিছু উপায়ের কথা বলা হল।
রাশিচক্রে ৯টি গ্রহ আছে এবং তাঁদের আলাদা আলাদা প্রভাব রয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে আগে ঘর বদল করে চন্দ্র। মানুষের মন কী চায় তার অনেকটা নির্ভর করে চন্দ্রের ওপর। চন্দ্রের অবস্থান ও নেতিবাচক প্রভাবের ফলে মানুষের কোনও কাজে মন বসে না। এর ফলে মানসিক অশান্তি ও অর্থাভাব দেখা দেয়।
চন্দ্রের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে চাল দিয়ে কিছু সহজ টোটকা দেওয়া হল:
• আর্থিক সমৃদ্ধি ঘটাতে এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ কমাতে নিজের মানিব্যাগে বা আলমারিতে ২১টি চাল একটি কাগজে মুড়ে রেখে দিন। দেখবেন এতে বাড়তি খরচ কমবে এবং ধীরে ধীরে আর্থিক উন্নতি ঘটবে।
• আমাদের অর্থের দেবী মা লক্ষ্মী। ঘরে লক্ষ্মীদেবীর আসনে বা লক্ষ্মীদেবীর পাশে একটি তামার ঘটিতে পরিপূর্ণ করে এক ঘটি চাল রেখে দিন। এতে আপনার কখনও অর্থ কষ্ট হবে না এবং পরিবারের সকলের সঙ্গে সকলের সম্পর্ক ভাল থাকবে।
আরও পড়ুন: আপনার বাড়ির সিঁড়ির এই অবস্থানই অশান্তির কারণ নয় তো
• প্রতি সোমবার দরিদ্র কোনও মানুষকে চালের সঙ্গে দই, পৈতে, চিনি দান করতে হবে (যদি সম্ভব হয় সঙ্গে একটি সাদা বস্ত্র দান করলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়)। এতে চন্দ্রের দোষ অনেকটা কাটবে এবং আর্থিক সমৃদ্ধি বাড়বে। কর্মেও প্রচুর পরিমাণে উন্নতি হতে দেখা যাবে।
• আমরা অনেকেই অনেক সময় ভিখারিকে চাল দান করি। যখন ভিখারিকে চাল দেবেন, তখন সেই দান করা চালের কিছুটা অংশ নিজের ঘরে রেখে দিতে হয়। এর ফলে আপনার বাড়িতে কখনও দারিদ্রতা প্রবেশ করতে পারবে না।