গৃহের অভিলাষ মানুষের চিরকালীন। আগেকার দিনে সাধারণত নিজের ব্যক্তিগত পৃথক বাড়ি বা বাংলো বাড়ি করার ঝোঁক ছিল বেশি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি একেবারে বদলে গিয়েছে। এখন আড়াআড়ি বাড়ির চেয়ে উঁচু খাড়া বাড়ি বেশি পছন্দের কারণ আড়াআড়ি বাড়ি তৈরি অনেক ব্যয় সাপেক্ষ। জমিতেও টান পড়েছে। এই সঙ্গে লিফটের সুযোগ-সুবিধা মানুষকে বহুতল বাড়ির প্রতি আর্কষণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তা ছাড়া দূষণের বিষয়টিও আছে।যত উঁচুতে মানুষ থাকবে দূষণ তাকে স্পর্শ করবে তত কম। এটাও বহুতল বাড়ির আর এক আর্কষণ।
বহুতল বিশিষ্ঠ ফ্ল্যাটবাড়ি নির্মাণে বাস্তুশাস্ত্রের সিদ্ধান্ত কী ভাবে পালন করা সম্ভব :-
১। বহুতল ফ্ল্যাটের অ্যাক্রিলিক রং, সিন্থেটিক ভিনাইল ফ্লোরিং ব্যবহার পরিহার করা ভাল। এগুলি ঋণাত্নক বস্তু। এগুলি মানবদেহের পক্ষে ক্ষতিকারক।
২। প্রাকৃতিক বস্তু ব্যবহার শুভদায়ক ও স্বাস্থ্যকর।সিন্থেটিক রঙের থেকে চুনকাম বা ডিসটেম্পার ব্যবহার করা ভাল। এগুলি বাতাসকে শোষণ করে পরিশ্রুত করতে সক্ষম।
৩।বহুতলের ফ্ল্যাটের মূল কাঠামো অপরিবর্তিত রেখে শুধু মাত্র ধনাত্বক বস্তু — পিতল, ক্রিস্টাল, চিনেমাটি, সেরামিক,পাথর, সুরকি, কাঠ, ইত্যাদি ব্যবহার বাড়ালে ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হবে।
৪। বহুতলের ভূমিতল জমির স্তর থেকে কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ ফুট উচুঁ করা ভাল।
৫। যত বেশি উপরে ওঠা যায় ঋণাত্বক বিকিরণের হার দ্রুত কমতে থাকে। আর চার/ পাঁচ তলার পর তা প্রায় নেই বললেই চলে।
বিঃ দ্রঃ- বাস্তুশাস্ত্রের কোনও জাত নেই। বাস্তু হল স্থাপত্যের কলা ও বিজ্ঞান। বাস্তু যে মানবে ফল তারই, কারণ বাস্তু উপদেষ্টা বিশ্বর্কমা বলেছেন, এ শাস্ত্র সকল মানবের কল্যাণের জন্যই সৃস্টি হয়েছে। অনুরূপভাবে সকল পাঠকগনের স্বামী বিবেকবন্দের এই বাণী স্মরণ রাখা উচিত-
এই যুগে কর্মযোগের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা উচিত।