বর্তমান সমাজে মানুষ নিজের স্ট্যাটাস বজায় রাখার জন্য মাঝে মাঝে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ প্রয়োজনেও অনেক ঋণ নিতে বাধ্য হন। তবে সবাই এই পথে চলতে পছন্দ করেন না। অধিকাংশই সাধারণ ভাবে চলে শান্তিতে থাকতে পছন্দ করেন। কিছু মানুষ নানা সুযোগ ও নিজের ভোগবিলাসের জন্য নানা প্রলোভনে পড়ে সহজেই ঋণ নিয়ে নেন। তারপর তাকে নানা অসুবিধা ও অর্থ সঙ্কটের মধ্যে পড়তে হয়। জন্মছকে ষষ্ঠ ভাব থেকে ঋণ বিচার করা হয়। যাঁরা ঋণ নিয়েছেন এবং শোধ করতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তাঁরা এই ক্রিয়ায় উপকৃত হতে পারেন।
ঋদ্ধি, সিদ্ধি এবং দারিদ্র হরণের দেবতা হলেন গণেশজি। তাই বৃহস্পতিবার গণেশজির সামনে একটা লাল কাপড় রেখে তার ওপর ১০০ গ্রাম ছোলার ডাল, অল্প আখের গুড়, ৫ টাকা এবং ১টি গোটা হলুদ (কাঁচা অথবা শুকনো) রাখুন। ধূপ ও দীপ জ্বালান। ৫টি লাড্ডু ভোগ হিসাবে সামনে রাখুন। এর পর গণেশজির মন্ত্র ‘ওঁ গণপত্যায় নমঃ’। কম করে ২১ বার অথবা ১০৮ বার বলুন। এরপর ওঁ গুরু গুরবে নমঃ বলুন।
পরের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার জিনিসগুলো লাল কাপড়ে মুড়ে গঙ্গায় বা নদীতে অথবা পুকুরে ফেলে আসুন। এই ভাবে ১১টি বৃহস্পতিবার করতে হবে। যদি জিনিসগুলো প্রত্যেক সপ্তাহে বিসর্জন দেওয়ায় কোনও অসুবিধা থাকে, তা হলে সেগুলো লাল কাপড়ে মুড়ে একটি ভাল জায়গায় রেখে দিন। ১১টি বৃহস্পতিবার পূর্ণ হওয়ার পর সেগুলো এক সঙ্গে পরের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার জলে বিসর্জন দিয়ে দিন। দেখবেন ধীরে ধীরে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার একটা পথ অবশ্যই খুঁজে পাবেন।
আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী গণেশ মন্ত্র পাঠ করুন, সমস্যার সমাধান হবে